কেন ঠোঁট ফাটে শীতে

57

শীতের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাব শুধু শরীরের ওপরই পড়ে না, ঠোঁটের ওপরও পড়ে ভীষণভাবে। এতে এ সময় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই ঠোঁট শুষ্ক থাকে এবং ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। অল্প আর্দ্রতা, খুব সূর্যের আলো ও ঠান্ডা বাতাস এর কারণ। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও কিছু পরিবর্তন আসে। শীতে অতিরিক্ত ধুলোবালুর কারণে শরীরে রুক্ষতা তৈরি হয়। ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা জমে। ত্বক খসখসে হয়ে যায়। শীতের শুষ্ক আবহাওয়াই ত্বক ফাটার অন্যতম কারণ। বিজ্ঞানীদের মতে, শীতে সূর্য হেলানোভাবে কিরণ দিলেও তা সরাসরি বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে। শীতকালে বায়ুতে তেমন জলীয় বাষ্প থাকে না। ফলে শুষ্ক বায়ুতে চারপাশ থেকে পানি জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এ কারণে শীতকাল এলেই পুকুর, জলাশয় বা নদীর পানি কমতে দেখা যায়। বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্পের ভারসাম্য রক্ষায় চারদিক থেকে পানির দরকার হয়। মানবদেহে ত্বকের কোষে যে পানি আছে, তা কোষের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর শুষ্ক, রুক্ষ, টানটান হয়ে যায়। এক সময় ত্বক রুক্ষ হয়ে ফেটে যায়। শীতে ত্বক সব সময় শুষ্ক থাকে। যার প্রমাণ শরীরের কোনো অংশে হালকা আঁচড় দিলে ত্বকের পাতলা চামড়া উঠতে থাকে। পায়ের ক্ষেত্রে টানটান ত্বকে যখন হাঁটা হয়, তখন শরীরের সব ভার পায়ের তলার পেছনের দিকে চাপ পড়ে ও পায়ের তলার চারদিকের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ফাটতে থাকে।