কী থাকছে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপের ফাইনাল

86

শনিবার সকাল দশটা। নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির এক ঝাঁক কিশোর। হাতে তাদের ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিশাল পতাকা। মাঝে আইসিসির পতাকা। রোববার এই মাঠেই বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। মহা আয়োজনের মহড়া চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।বিশ্বকাপের কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি আয়োজক ভারত। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। তবে বিগ ফাইনালকে উদ্দেশ্য করে রাখা হয়েছে সমাপনী আয়োজন। ম্যাচের আগে, মাঝে ও শেষে থাকছে নানা আয়োজন। ম্যাচের আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারতের বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সাদা আকাশে হবে এয়ার শো। নয়টি যুদ্ধবিমান আকাশ রাঙাবে অ্যাকোবেটিক ডিসপ্লেতে। সঙ্গে বাজবে বিশ্বকাপের থিম সং। প্রথম ইনিংসের পানি পানের বিরতির সময় হবে আদিত্য গাদবির পারফরম্যান্স। এরপর ইনিংস বিরতিতে চলবে প্রীতম চক্রবর্তী, জনিতা গান্ধী, নাকাশ আজিজ, অমিত মিশ্র, আকাশ সিং এবং তুষার জোশির পারফরম্যান্স। ১০ মিনিট পারফর্ম করবেন তারা। প্রীতম চক্রবর্তী এবার বিশ্বকাপের থিম সং ‘দিল জশন বোলে’ কম্পোজ করেছেন।

তাদের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ৫০০ নৃত্যশিল্পী নাচবেন মাঠের সবুজ ঘাসে। মহড়া দেখে বোঝা গেছে, দেবা দেবা, কেসারিয়া, লেহার ডো, জিতেগা জিতেগা, নাগাডা নাগাডা, ধুম মাচালে এবং দঙ্গল গানে পারফর্ম করবেন তারা। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী সব অধিনায়ককে সম্মাননা জানাবে আইসিসি ও বিসিসিআই। আইসিসি সব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ৯২’র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান বাদে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে সবার। তাদের সম্মানে তৈরি করা হয়েছে ব্লেজারও। দ্বিতীয় ইনিংসের পা পানির বিরতির সময় হবে লেজার ও লাইট শো। ম্যাচ শেষে দেখাবে ড্রোন শো। যেখানে ১২০০ ড্রোন চ্যাম্পিয়নদের সম্মান জানাবে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক। আয়োজক এবং স্থানীয় সংগঠক ও কর্মকর্তাদের থেকে জানা গেল, ফাইনালের কোনো টিকিট বিক্রি বাকি নেই। সবচেয়ে বড় কথা, আয়োজকরা যেসব টিকিট কম্লিমেন্টারি রেখেছিলেন সেগুলো পাওয়ার জন্য এমন জায়গা থেকে তদবির এসেছে যে তারা নিজেরাও অবাক। তাই বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। জানিয়ে রাখা ভালো, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের জন্য আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনে ফ্লাইট পঞ্চাশটিরও বেশি। ফাইনালের জন্য সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে একশটিতে! সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সড়কপথেও নিকটতম দূরত্ব থেকে চলে আসছেন সমর্থকরা। এই সুযোগে হোটেল ব্যবসায় আঙুল ফুলে কলাগাছ! স্টেডিয়ামের আশেপাশের সব হোটেলে সিন্ডিকেট করে ভাড়া বাগিয়ে নিচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় গুণ।দীপাবলির উৎসব শেষ হচ্ছ রোববার। আহমেদাবাদে দীপাবলি মানেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব। ট্যাক্সি কিংবা উবার বা শপিং মলে কোনো কাজে বেরুলোই শুনতে হবে, হ্যাপি নিউ ইয়ার। এই উৎসবের সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে বিশ্বকাপের ফাইনাল। বলার অপেক্ষা রাখে না, পুরো ক্রিকেট বিশ্ব নয় গোটা বিশ্বেরই চোখ থাকবে আহমেদাবাদে।