কিছু সুপারিশে ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিল ইসি

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রিয়াজের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই মতামত দেওয়া হয়েছে। আজ এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেছেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৯-১০টি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এটির প্রয়োজন নেই। ইসি সচিব বলেন, সীমানার পুনর্নির্ধারণ কমিশনের কথা যে বলা হয়েছে, আমরা বলেছি যে দরকার নাই। কেবিনেটে আমাদের একটা প্রস্তাব দেওয়া আছে। সেটাই সাফিসিয়েন্ট।

তিনি বলেন, গ্রামশূন্য হয়ে বিদেশে যাচ্ছেন, শহরে আসছেন। এজন্য শহরমুখী হয়ে যাচ্ছে আসনসংখ্যা। এটা না করে ভোটার, জনসংখ্যা ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনায় করা উচিত। ৪৮ঘণ্টার ভেতরে সার্টিফাই করার কথাও বলা হয়েছিল। আমরা মনে করি, এটার দরকার নাই। নির্বাচন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার সন্তুষ্ট না হয়ে তো ফলাফল দিচ্ছেন না। এটা গেজেট হচ্ছে, এটাই সার্টিফিকেশন। এমন কোনো ম্যাকানিজম কি আছে যে আমরা সার্টিফিকেশন দেবো, কি করবো? ম্যাকানিজম কি হবে, সেটা তো আবার আরেকটা দিকে যাবে।

ইসি সচিব বলেন, ‌‌‘এনআইডি কার্ডের বিষয়ে আমাদের অভিমত, সেটা হচ্ছে এনআইডি আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা, ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেওয়া হবে? বরং এটাকে আরও কী শক্তিশালী করা যায়, কলেবরটা কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে। আমরা এখন ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছি, সার্ভিসের উপযোগিতা আছে বলেই তো দেওয়া হচ্ছে।’
সংস্কার কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে, কয়টি বিষয়ে আপত্তি আছে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপত্তি বিষয়টির প্রতি আমাদের আপত্তি আছে। আপত্তি না, আমরা বলেছি আমাদের মতামত। আপত্তি বিষয়টা হলো জোরালো এবং বিষয়টাই ডিফারেন্ট। ইসি ভিন্নমত পোষণ করেছে।