Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

কাতারের বিরুদ্ধে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ বাহরাইনের

বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কাতারের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সংঘটিত রাজতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।তারা কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন জসিম আল-থানির সঙ্গে বাহরাইনের বিরোধী গোষ্ঠী ওয়েফাকের নেতা আলি সালমানের একটি টেলিফোন কথোপকথন প্রকাশ করেছে, যাতে দুজনই বিক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে একমত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।বাহরাইনের পাবলিক প্রসিকিউটররা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রাষ্ট্র পরিচালিত বাহরাইন নিউজ এজেন্সি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, “দুই বক্তা সমঝোতায় আসেন কী করে অস্থিরতা আরও বাড়ানো যায়, যা বাহরাইনের স্বার্থ ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”প্রতিবেদনে বলা হয়, “বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যমে রাজ্যের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শেষ করা মাত্রই এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।”কাতার বা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হামাদ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। ২০১৩ সালে মন্ত্রীত্বের পদ ছেড়েছেন শেখ হামাদ।
বিদ্বেষ ছড়ানো, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অপমান ও অবাধ্যতা প্রচারের অভিযোগে ওয়েফাক নেতা শেখ আলি সালমানকে ২০১৫ সালে কারাদ- দেওয়া হয়। ধারাবাহিক অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে গত বছর তার দলও ভেঙে দেওয়া হয়। বিবিসি জানিয়েছে, ছয় বছর আগে শিয়া সম্প্রদায় নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ বাহরাইনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুড়িয়ে দিলে সুন্নিশাসিত দেশটিতে অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করে।
বাহরাইনের বাদশা প্রতিবেশি সুন্নি দেশগুলো থেকে সেনাবাহিনী এনে আন্দোলন থামান ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। ওই দফায় ৩০জন বেসামরিক ও ৫ পুলিশ সদস্য নিহত হন।আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এরপর একের পর এক সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বহু বেসামরিক মারা গেছে বলে জানিয়েছে গণতন্ত্রপন্থিরা।
অন্যদিকে ইরান সমর্থিত শিয়া জঙ্গিরা বোমা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে বলে দাবি সরকারি কর্তৃপক্ষের।সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ দেখিয়ে জুনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয় বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর। দোহা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রতিবেশীরা তাদের স্থল, সমুদ্র ও আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় ২৭ লাখ অধিবাসীর প্রয়োজন মেটাতে তাদের বিকল্প পথে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করতে হচ্ছে।

Exit mobile version