ওই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে দেশটির ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ওই আরব দেশগুলো, জানিয়েছে বিবিসি।
এক মাস আগে সন্ত্রাসবাদের তহবিল যোগানোর অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে করে বাণিজ্য ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কাতারের প্রতিবেশী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরায়েন ও মিশর।
এরপর সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার শর্ত হিসেবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস, তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ ও আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারের কাছে ১৩টি দাবি পেশ করে ওই আরব দেশগুলো।
২৩ জুন ওই দাবিগুলো মানার জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেয় তারা। গত রোববার রাতে ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এর মেয়াদ আরো দুই দিন বাড়িয়েছে দাবি পেশকারী দেশগুলো। অপরদিকে সন্ত্রাসবাদে তহবিল যোগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার। দেশটি জানিয়েছে, সরকারিভাবে একটি চিঠির মাধ্যমে দাবিগুলোর বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া গতকাল সোমবার দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী আরব রাষ্ট্র কুয়েতকে জানাবে তারা। চিঠিটি দিতে গতকাল সোমবার সকালে কুয়েতে যাওয়ার কথা কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির।
শনিবার আল থানি জানিয়েছিলেন, কাতার সৌদি জোটের দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্তু যুক্তিযুক্ত শর্ত নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত আছে।
সম্পর্কচ্ছেদ করার পর থেকে নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কাতারকে চাপে রেখেছে সৌদি আরব ও তার মিত্র আরব দেশগুলো।
বুধবার তাদের বাড়ানো সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করবেন ওই চার আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।