করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব

321
 আসন্ন বাজেটে ব্যাক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একইসাথে সংগঠনটি আগামী বাজেটে সকল ক্ষেত্রে কর্পোরেট করহার ৫ শতাংশ কমানোসহ ২০টি সুপারিশ করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণীর করমূক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা।

আবুল কাশেম খান নীট সম্পদের মূল্য ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে শূন্য হারে সারচার্জ আরোপের পাশাপাশি ১৫ কোট টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ নির্ধারণের আহবান জানান। এছাড়া সংগঠনটির পক্ষ থেকে সামাজিক,আর্থিক ও অন্যান্য সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ট্যাক্স কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুবিধা প্রদান এবং করদাতাদের কর প্রদানের হারের সাথে সঙ্গতি রেখে ছয়টি শ্রেণিতে ট্যাক্স কার্ড প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়। আবুল কাশেম খান বলেন,ট্যাক্স কমিয়ে দিলে সেই টাকা দিয়ে আমরা বাড়ি গাড়ি করবো না। আপনারা যদি ট্যাক্স কমিয়ে দেন, ভবিষ্যতে আমরা সেই টাকা বিনিয়োগ করতে চাই। অনেক ক্ষেত্রে দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলে সেই টাকা হয়ত দেশেই থেকে যেত। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন,কর কমিয়ে কিভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায় আমরা সেদিকে এবার নজর দিবো। এখন পর্যন্ত কর্পোরেট কর কমানোর কথা অনেকেই বলেছেন। দীর্ঘমেয়াদে এটি কিভাবে কমানো যায় আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। তিনি ব্যবসায়ীদের সময়মত শুল্ক ও ভ্যাট প্রদানের আহবান জানান। বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভ্যাট আহরণ করলেও তা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না,এ বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।