কঠিন রাজনীতিতে ভয় মিশেলের

304

বারাক ওবামার সঙ্গে হোয়াইট হাউস থেকে ডেমোক্রেটদের বিদায়ের পর মিশেল ওবামাকে নিয়ে যারা আশা দেখছিলেন, তাদের হতাশ করেছেন তিনি।সাবেক এই ফার্স্ট লেডি বলেছেন, হোয়াইট হাউসে ফিরতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই তার। আর এর কারণ হিসেবে রাজনীতির কঠিন পথে হাঁটতে তার ভয়ের বিষয়টিই স্পষ্ট হয়েছে। গত শুক্রবার অরল্যান্ডোতে একটি সম্মেলনে মিশেল প্রশ্নোত্তরে নিজের এই অবস্থান তুলে ধরেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। আট বছর ব্যস্ত জীবন কাটিয়ে গত জানুয়ারিতে স্বামীর সঙ্গে হোয়াইট হাইস ছেড়ে কিছু দিন নির্ঝঞ্ঝাট সময় কাটানোর পর এটাই ছিল মিশেলের প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠান। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না- এই প্রশ্নে ৫৩ বছর বয়সী মিশেল বলেন, রাজনীতি বড় কঠিন। আপনি এই পথে পা রাখার আগ পর্যন্ত এটা খুব ভালো। হাঁটার শুরুর পর ছুরিটা বেরিয়ে আসে। কেউ রাজনীতির পথে নামলে শুধু সে-ই নয়, গোটা পরিবারকে যে নামতে হয়, তা স্বামীর সঙ্গে আট বছর হেঁটে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মিশেল। আমি আমার মেয়েদের বলতে চাই না যে আবার ওই পথে নামো। কারণ আপনি যখন ভোট করবেন, শুধু আপনি নয় পুরো পরিবারকেই নামতে হবে। গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ীহয়ে এখন হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ১০০ দিনের দায়িত্ব পালনের পর বলেছেন, এটা যে এত কঠিন, তা তিনি আগে বোঝেননি। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের কাছে হিলারি ক্লিনটনের হারের পর ডেমোক্রেটদের অনেকে ওবামাপতœী মিশেলকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী দেখতে চাইছিলেন। ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার জনপ্রিয়তা প্রেসিডেন্ট স্বামীকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তাদের হতাশ করে ভোটের লড়াইয়ে নামার সম্ভাবনা এখন নাকচ করলেও কিন্তু রেখে মিশেল বলেছেন, জনসেবার কাজটি তার রক্তে মিশে আছে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় প্রাণপন চেষ্টায় চোখের জল আটকে রাখার কথাও বলেছেন মিশেল। আমি আমার চোখের জল দেখাতে চাইনি। তাতে মানুষ ধারণা করতে পারত যে নতুন প্রেসিডেন্টকে (ট্রাম্প) নিয়ে হতাশা থেকে আমি কাঁদছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ১০০ দিনের কাজের মূল্যায়নে নিষ্পৃহ মিশেলের উত্তর আসে, “এখন পর্যন্ত ভালোই তো। আট বছর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাড়িতে থাকার পর এখন সাধারণ জীবনে ব্যতিক্রমের বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন সাবেক ফার্স্ট লেডি। ডোর বেল বাজলে আমার কুকুরটা বুঝতে পারে না। কারণ হোয়াইট হাউসে ডোর বেলের শব্দ ছিল অন্য রকম। আমার দুই মেয়ে এখন নিজেদের ঘরের জানালা নিজেরাই খুলতে পারে।