ওয়াশিংটনে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সফরের সময় মারামারি

418

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে এরদোয়ান বিরোধীদের সঙ্গে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১১ জন আহত হয়েছে বলে গত বুধবার জানিয়েছে ওয়াশিংটন পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত একজন এরদোয়ান বিরোধী বিক্ষোভকারী। নিজেদের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের সামনের রাস্তায় ঘটা এ ঘটনার জন্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিক্ষোভকারীদের দায়ী করেছে তুরস্ক। কিন্তু ঘটনাটিকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর ‘বর্বর হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন ওয়াশিংটন পুলিশ প্রধান। এক বিবৃতিতে তুর্কি দূতাবাস জানিয়েছে, প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকের সম্পর্ক আছে। উল্লেখ্য তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই পিকেকে-কে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এরদোয়ান ঘটনার সময় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ছিলেন বলে জানিয়েছে তুর্কি দূতাবাস। সেখানে যে তুর্কি-আমেরিকানরা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিল তারাই পিকেকের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিবাদকারীদের উস্কানির জবাব দিয়েছে বলে দাবি দূতাবাসটির। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, “তুরস্কের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর ভাষায় আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছি। অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো স্যুট পরা লোকজন এরদোয়ান বিরোধীদের ধাওয়া করে ধরে ঘুষি ও লাথি মারছে, এ সময় ওয়াশিংটন পুলিশ এসে হাজির হয়। ভিডিওতে মাথায় আঘাত পাওয়া রক্তাক্ত দুই ব্যক্তিকে দেখা গেছে যাদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা সহায়তা করছিল। ওয়াশিংটনের পুলিশ প্রধান পিটার নিউশাম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশের ভাল ধারণা আছে এবং সিক্রেট সার্ভিস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন জালাল খেইরাবাদি (৪২) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যেন সমর্থন অব্যাহত রাখে তার আহ্বান জানাতে তারা প্রতিবাদ সমাবেশটিতে যোগ দিয়েছিলেন। জুনে আদালতের শুনানিতে উপস্থিত থাকার শর্তে খেইরাবাদিকে জামিন দেওয়া হয়েছে, তারপর বুধবার রাতে রয়টার্সের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি।