ওয়ালশের ক্লাসে মুস্তাফিজ

305

সকালের রানিং আর জিম সেশন তখন শেষ। ফিটনেস ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ কেউ তখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। কেউ বা আরেকটু সময় কাটাচ্ছেন জিমে। একাডেমি মাঠে নিজের মত করে ব্যাটিং-বোলিং করছেন কেউ কেউ। একমাত্র একজনই কেবল তখন আলাদা। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ইনডোরের পাশের নেটে। তার সঙ্গে কোর্টনি ওয়ালশ। মঙ্গলবার সকালে মুস্তাফিজের সঙ্গে বেশ অনেকটা সময় কাটালেন ওয়ালশ। কাজ করলেন একান্তে ও নিবিড়ভাবে। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে আগের দিনও সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ। আলাদা করে কাজ করবেন আরও কিছুদিন। কাজের উদ্দেশ্য, ধরন বা এই জাতীয় কিছুই বিশদ বলতে চাইলেন না দুজনের কেউ। ওয়ালশ শুধু এটুকু বললেন, “সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে। ওর উন্নতি হচ্ছে ভালোভাবেই।”
বাইরে থেকে দেখে যতটুকু বোঝা গেল, দিনের সেশনে মুস্তাফিজকে বোলিং ক্রিজের ব্যবহার দেখাচ্ছিলেন ওয়ালশ। এক দফায় মুস্তাফিজ বোলিং করেছেন স্টাম্প থেকে একটু দূরে। পরে স্টাম্পের কাছে। ডান হাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারি নিয়েও কাজ করতে দেখা গেল। ডেলিভারি স্ট্রাইডে সামনে পায়ের অগ্রভাগ কোন মুখী থাকবে, সেসময় হাত ও মাথার অবস্থান কোথায় থাকবে এবং কাঁধ কতটুকু ঝুঁকবে, মুস্তাফিজকে সেসব বারবার দেখিয়ে দিচ্ছিলেন ওয়ালশ। মুস্তাফিজ বোলিং করেছেন ছোট্ট রান আপে, কয়েকটি পদক্ষেপে। ¯্রফে ও ডেলিভারির জন্য অ্যাকশন রপ্ত করা আর জায়গামত বল ফেলাই ছিল চাওয়া। কাঁধের অস্ত্রোপচার থেকে ফেরার পর শুরুর সেই সেরা চেহারায় খুব একটা দেখা যায়নি মুস্তাফিজকে। নিউ জিল্যান্ডে দুই ওয়ানডেতে চার উকেট নিলেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে অবশ্যই ভালোই করেছেন। ৩ ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যদিও নিজের মানে ছিলেন খরুচে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ৪ উইকেট নিয়েছেন। এরপর আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও ভালো বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। ৩ ইনিংসে বল করে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন একদমই বিবর্ণ। চার ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১টি, ছিলেন ধারহীন। গত সেপ্টেম্বরে ওয়ালশ বোলিং কোচ হয়ে আসার পর টানা খেলার মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। পেসারদের নিয়ে তাই আলাদা করে কাজ করার সময় সামান্য পেয়েছেন ওয়ালশ। এখন সেই সুযোগ পাচ্ছেন কিছুটা। এছাড়াও ১৫ জন পেসারকে নিয়ে শিগগিরই শুরু হবে পেস বোলিং ক্যাম্প।