ওজন কমে পানি পানেও

352

শরীরের ওজনের ওপর পানি পান করার ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আছে অসংখ্য গবেষণা। আর সবগুলোই বলে- পানি পান করলে ওজন কমে। কারণ পানি পানে বিপাকক্রিয়া দ্রুত হয়। ফলে ক্যালরি খরচের পরিমাণ বাড়ে ও ক্ষুধাও কমে।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দুটি গবেষণার বরাত দিয়ে জানানো হয়, দৈনিক আধা লিটার পানি পান করলে বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
তার মানে কি বেশি পানি পান করলেই বেশি ক্যালরি পুড়বে?
পানিতে ক্যালরি নেই। তাই পানি পান করলে শরীর কোনো ক্যালরি পায় না। তবে অন্য যে কোনো পানীয়তেই ক্যালরি এবং চিনি থাকে উচ্চমাত্রায়। তাই পানীয়ের বদলে পানি পান করলে আপনার ওজন কমবে।
গবেষণাতেও তাই দেখা যায়, পানি কম গ্রহণকারীদের তুলনায় যারা স্বভাবতই পানি বেশি পান করেন, তাদের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা।

কীভাবে
– দৈনিক পানি পানের মাত্রা মাত্র এক কাপ বাড়ালে ওজন কমতে পারে ০.১৩ কেজি।
– অন্য পানীয়ের পরিবর্তে পানি পান করতে পারলে ওজন কমতে পারে ০.৫ কেজি।
– কুসুম গরম পানি পানের রয়েছে নিজস্ব গুণাগুণ। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ঠা-া পানিই বেশি কার্যকর। কারণ ঠা-া পানি দেহের তাপমাত্রায় আনতে শরীরকে ক্যালরি খরচ করতে হবে।
– কোনো কিছু খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করলে ক্যালরি গ্রহণ কমবে।

প্রকৃত ঘটনা
পানি পান করলে বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়ে মৃদু মাত্রায়। আর খাওয়ার এক থেকে আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করলে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা কমে। তবে প্রচুর পানি পান করলেই যে দ্রুত ওজন কমে যাবে তা নয়। এ ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা দূরে থাকবে।
তবে অতিরিক্ত পানি পানের খারাপ দিকও আছে।
অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে হতে পারে ‘ওয়াটার ইনটক্সিকেশন’ অর্থাৎ রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অত্যন্ত কমে যাওয়া। যা রক্ত চাপ কমায় দিতে পারে। এই সমস্যা অন্তত দুর্লভ তবে প্রাণঘাতি।
প্রত্যেককেই তাদের শরীরের ওজন অনুযায়ী পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে।