একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্পের উপকারভোগী ২৮ লাখ ৪৭ হাজার পরিবার : শেখ হাসিনা

220

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রাম উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মহৎ লক্ষ্যে গৃহীত একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্পের আওতায় মোট ২৮ লাখ ৪৭টি সদস্য পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন সদস্যের মাঝে গাভী, ঢেউটিন, হাঁস মুরগি, গাছের চারা এবং সবজি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সদস্যদের নিজস্ব ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা সঞ্চয়ের বিপরীতে সরকার তাদেরকে ৮৬৭ কোটি টাকা উৎসাহ বোনাস দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমিতিগুলোকে ঘূর্ণায়মান তহবিল ১ হাজার ১০৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট সরকারি অনুদান ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্পের আওতায় পেশাভিত্তিক কর্মসৃজনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ১৬ লাখ মহিলাকে পরিবার প্রধান হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশনেয়াসহ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পের ২য় সংশোধনী মেয়াদে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় ৪৮৫টি উপজেলার ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নে মোট ৪০ হাজার ২১৬টি সমিতি গঠন করা হয়েছে এবং সদস্য সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকার স্থায়ী তহবিল গড়ে উঠেছে। বছরে প্রকল্পভুক্ত সদস্য প্রতি গড়ে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ হাজার ৯২১ টাকা। প্রকল্পভুক্ত এলাকায় অধিক আয়ের পরিবারের সংখ্যা শতকরা ২৩ ভাগ থেকে শতকরা ৩১ ভাগে উন্নীত হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সমিতি পর্যায়ে সকল আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হওয়ায় গ্রামীণ জনপদে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে জীবিকাভিত্তিক আয়বর্ধক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পারিবারিক খামার বাস্তবায়িত হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির হার বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীর মাধ্যমে মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ৯৬১টি সমিতি গঠতি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীর মাধ্যমে গঠিত সমিতিসমূহে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৮ হাজার জন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।