উচ্ছ্বসিত মৌসুমী হামিদ

257

বড় পর্দায় ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। ‘জালালের গল্প’, ‘ব্লাকমেইল’, ‘পূর্ণদের্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২’সহ প্রায় প্রতিটি ছবিতেই দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলোর জন্য নির্মাতাদের কাছে তিনিও বেশ আস্থা তৈরি করেছেন। এই অভিনেত্রী বড় পর্দায় এবার আসছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজলক্ষ্মী হয়ে। নির্মাতা আরিফুর জামান শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো নিয়ে নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’। এই ছবির রাজলক্ষ্মী চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমী হামিদ। চরিত্রটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। গতকাল থেকে বিএফডিসিতে এই ছবির শুটিং শুরু হয়েছে।
মৌসুমী হামিদ বলেন, বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র গভীরভাবে মিশে রয়েছেন। রাজলক্ষ্মী শরৎচন্দ্রের একটি অনন্য সৃষ্টি। এই চরিত্রে অভিনয় করতে পারা যেকোনো অভিনেত্রীর জন্য আনন্দের। সত্যি বলতে, এমন একটি চরিত্রের জন্য আমিও অপেক্ষা করেছি। আশা করছি রাজলক্ষ্মী চরিত্রের মধ্যদিয়ে আবারো দর্শকদের নতুন কিছু দিতে পারবো। এই চলচ্চিত্রের মধ্যদিয়ে কি মৌসুমী আবারো চলচ্চিত্রে নিয়মিত হচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার ছবির সংখ্যা কম। কিন্তু আমি বরাবরই ব্যতিক্রমী গল্প ও চরিত্রের ছবিতে কাজ করে আসছি। আগামীতেও রাজলক্ষ্মীর মতো নতুন কোনো চরিত্রে পেলে নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হবো। আমি চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করতে চাই। এদিকে মৌসুমী হামিদ বর্তমানে নতুন ছবির অভিনয়ের বাইরে ছোট পর্দার ঈদের নাটক-টেলিছবির শুটিং নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানান। এরইমধ্যে ঈদের জন্য তিনি সালাউদ্দিন লাভলুর ‘ফেসবুকে বিবাহ’, সুমন আনোয়ারের ‘কমলার বনবাস’সহ বেশ কিছু নাটকের কাজ শেষ করছেন। ঈদের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, গেল ঈদে আমার অভিনীত বেশ কিছু নাটক-টেলিছবি দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। এই ঈদেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। ঈদের অনেকগুলো নাটক-টেলিছবির স্ক্রিপ্ট হাতে আছে। পছন্দের গল্প ও চরিত্রগুলোতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। ছোট পর্দায় ধারাবাহিকেও এই গ্ল্যামারসকন্যা অভিনয় করছেন। সুমন আনোয়ারের ‘সুখী মীরগঞ্জ’ ও ‘ইডিয়েট’ শীর্ষক দুটি ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করছেন বলে জানান। ছোট পর্দার কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের এখন বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে টিভি নাটক নির্মাণ হচ্ছে। ইউটিউবে প্রতিটি নাটকের লাখ লাখ ভিউয়ার্স দেখা যায়। আমি বিশ্বাস করি আমাদের টিভি দর্শক বিদেশি চ্যানেল পরিহার করে দেশীয় নাটকমুখী হবেন।