ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চলছেই

50

শনিবার ২৭ জানুয়ারি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান একের পর এক বোমা ফেলেছে গাজার খান ইউনিস এলাকায়। এতে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে ইসলায়েলকে পদক্ষেপ নিতে আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। কিন্তু আইসিজের সেই নির্দেশের পরও বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা গণহত্যা মামলার প্রেক্ষিতে গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে শুক্রবার আদেশ দেন আইসিজে। তবে আদেশে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের কথা বলা হয়নি। এরপরও গণহত্যা ঠেকাতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার নৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। আইসিজের নির্দেশনাগুলো মানতে হলে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে ইসরায়েলকে।এদিকে আইসিজের আদেশের পরও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আজকের হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৬ হাজার ২৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ১৭৪ জন। হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। শনিবার ইসরায়েল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। বোমা ফেলে ও ট্যাংকের গোলা ছুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এ এলাকার আল-আমাল ও নাসের হাসপাতালের কাছে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণের রাফা এলাকা থেকেও। গাজার বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সি জয়নব খলিল বলছেন, আইসিজের আদেশ গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার জানিয়েছে, খান ইউনিসে ১১ বন্দুকধারীকে হত্যা করেছে তারা।