ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রদূত ও বিমসটেক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে

46

সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ অফিসকক্ষে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বিমসটেকের প্রতিনিধিদল পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবেলু এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট ‘বিমসটেক’-এর সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রমণি পাণ্ডের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা মন্ত্রী পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবেলু বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতমানের নতুন অনিয়মিত রপ্তানিযোগ্য পণ্য আমদানি করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশে আগামীতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া। প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বিনিয়োগের জন্য অর্থনৈতিক জোন করেছে সরকার। আমদানি-রপ্তানিতে আমরা একাধিক দেশের সাথে সরাসরি বিনিময় ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছি। রপ্তানিযোগ্য পণ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে নতুন উন্নত মানের পণ্য আগামীতে যুক্ত হবে। এরপর প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বিমসটেকের প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎকালে বলেন, বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মাঝে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে বাংলাদেশ আগ্রহী। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন ব্যাবসায়িক স্বার্থ নিয়ে একসাথে কাজ করতে বাংলাদেশ উদ্যোগী ভূমিকা রাখবে। বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল হেরু এইচ সুবেলু আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও ব্লু-ইকোনমি খাতে সহযোগিতার প্রধান ভূমিকায় বাংলাদেশ।