ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস

85

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) পক্ষেই ভোট দিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৫টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) ইইউ পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাসেলসে আবেগঘন বিতর্কের পর ব্রেক্সিট প্রত্যাহার চুক্তির পক্ষে ইইউ পার্লামেন্টের ৭৫১ প্রতিনিধির মধ্যে ৬২১ জন পক্ষে এবং ৪৯ জন বিপক্ষে ভোট দেন। বাকিরা ভোটদানে বিরত ছিলেন। মঙ্গলবার ইইউর সদস্য হিসেবে শেষ সাধারণ অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল মিটিংয়ে অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অনুমোদিত এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বাক্ষরিত ব্রেক্সিট আইন উপস্থাপন করা হয়। ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোটে সেটি অনুমোদন করায় জানুয়ারির ৩১ তারিখ গ্রিনিচ মান সময় রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা) ইইউ থেকে বিদায় নেবে যুক্তরাজ্য। ইইউর ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত টিম বারাউ বলেন, ইতোমধ্যে ইইউর শীর্ষ নেতারা বিচ্ছেদ অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। সেটি লন্ডনে বরিস জনসনের দপ্তরে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানোও হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইইউ থেকে প্রত্যাহারের সব ধরনের বাধ্যবাধকতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে যুক্তরাজ্য। বিচ্ছেদ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর যুক্তরাজ্যের ইইউর সদস্যপদ বাতিল হবে। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ইইউ সদস্য হয় যুক্তরাজ্য। তবে, বেশ কয়েকজন এমইপি (ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য) বলেছেন, তারা আশাবাদী যে যুক্তরাজ্য আবারও ইউরোপের এই জোটে ফিরবে। ২০১৬ সালের জুনে গণভোটে সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতায় যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার প্রস্তাব পাস হয়। এরপর দেশটির রাজনীতিতে চরম অনিশ্চয়তা দেখা যায়। ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের দু’জন প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। একপর্যায়ে ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়। অবশেষে সব অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাসের মাধ্যমে।