‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীদের বিচার চান ফারুকী
সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া কিছু স্ক্রিনশটে দেখা গেছে দলীয় ট্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলেছেন কয়েকজন শিল্পী। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিকমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। এই গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও কথা হয়। ফলে ফারুকী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। এটিকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে এর বিচার চেয়েছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের শিল্পীদের সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এসময় তিনি তাদের গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফারুকী লেখেন, এটা নিশ্চয়ই বেদনার যে আমাদের দেশে শিল্পীর সাইন বোর্ড নিয়ে এমন লোকজন ঘুরে বেড়াতো যারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উস্কানিদাতা অথবা কেউ কেউ নিরব সমর্থক ছিলো। এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না, মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির। একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো। ফলে এদের এযুগের রাজাকার বলতে পারেন। নিশ্চয়ই এদের বিচার হবে গণহত্যায় সমর্থন এবং উস্কানী দেয়ার অপরাধে।
তিনি আরো বলেন, আশার দিকটা আপনাদের বলি। দেখবেন এই গ্রুপের বেশিরভাগই আসলে কোনো শিল্পচর্চার সঙ্গে সেই অর্থে জড়িত না। আমাদের মেইনস্ট্রিম (মানে টেলিভিশন, ওটিটি, এবং ফিল্মে যারা প্রধান শিল্পী; তথাকথিত এফডিসি বোঝানো হয়নি মেইনস্ট্রিম শব্দটা দিয়ে) অভিনয় শিল্পী বা ফিল্মমেকারদের কেউই এদের সঙ্গে নাই। এরাই আমাদের প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার।
‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।