আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মেহজাবিন

902

বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। এর সামনে বিভিন্ন সময়ে তাকে নাটক ও টেলিছবিতে পাওয়া গেছে। সেগুলোর মাধ্যমে প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। ঠিক তেমনি মডেলিংয়ের মাধ্যমেও দর্শকদের নজর কেড়েছেন মেহজাবিন। অথচ এবারের ঈদে তিনি যে ধারার প্রশংসার বন্যায় ভেসেছেন সেটা প্রথম। তার নাটক দেখে অনেকেই বলেছেন, মেহজাবিন আগের চেয়ে এখন প্রচুর ম্যাচিউরড। মেহজাবিন যে সিরিয়াস চরিত্রে এতটা ভালো অভিনয় করেন সেটা দেখেও অবাক হয়েছেন অনেকে। ঈদে চ্যানেল নাইনে প্রচারিত তার অভিনীত ‘বড় ছেলে’ নাটকটি এরইমধ্যে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তায় ভাসছে। চ্যানেলের পাশাপাশি ইউটিউবেও ২০ লাখেরও বেশি মানুষ অত্যন্ত অল্প সময়ে উপভোগ করেছেন নাটকটি। মিজানুর রহমান আরিয়ানের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন অপূর্বও। নাটকটিতে মেহজাবিনের রোমান্স, আবেগ, অনুভূতি, হাসি ও রোদন এ সবই যেন দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলের টানাপড়েনের গল্প নিয়ে নাটকটির গল্প তৈরি হয়েছে। পরিবারের দায়িত্বের কারণে শেষ পর্যন্ত মেহজাবিনকে ছাড়তে বাধ্য হন অপূর্ব। অন্যদিকে মেহজাবিনেরও বিয়ে ঠিক হয়। সে সময় তিনি অপূর্বর পাশে একটি দিন চেয়ে নেন, আগের মতো করে একসঙ্গে কাটানোর জন্য। পুরো দিন কাটানোর পর শেষ দৃশ্যে অপূর্বকে বিদায় দেয়ার সময় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেখানে অপূর্বকে সামান্য গিফট দেয়ার সময় মেহজাবিন যেভাবে কেঁদেছেন ও অভিনয় করেছেন তা দেখে চোখে পানি আসেনি এমন দর্শক খুঁজে মেলা ভার। নাটকটি দেখে আবেগকে স্পর্শ করেনি এমন দর্শক নেই। আর তাইতো ফেসবুকে ভাসছে ‘বড় ছেলে’ নাটকটির প্রচুর প্রশংসা। প্রশংসায় ভাসছেন নাটকের নায়িকা মেহজাবিনও। দর্শকদের বিশেষ অনুরোধে ‘বড় ছেলে’ আগামি ১৪, ১৫ ও ১৬ই সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় বিরতিহীনভাবে প্রচার করবে চ্যানেল নাইন। সব মিলিয়ে নাটকটির সাড়া নিয়ে দারুণ আবেগ আপ্লুত মেহজাবিন। তিনি বলেন, দেখুন কোনো গল্প অথবা চরিত্র যদি দর্শকদের আবেগকে স্পর্শ করতে পারে সেটাইতো সবচেয়ে বড় সফলতা। ঈদে ‘বড় ছেলে’ নাটকটি প্রচারের পর দর্শকতো বটেই প্রচুর তারকাও আমাকে ফোন করে ও ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই ভালোবাসা আমাকে প্রচুর বেশি উৎসাহিত করছে। আমি বেশ আবেগ অপ্লুতও বটে। আমি ‘বড় ছেলে’ নাটকে আমার চরিত্রটি করার সময় সত্যিই আবেগী হয়ে পড়েছিলাম। তবে দর্শক এতটা পছন্দ করবেন নাটকটি সেটা ভাবিনি। এর জন্য নাটকের নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান, কো আর্টিস্ট চমৎকার ভাইসহ পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এদিকে নাটক অথবা তার পেশা খুঁজতে যেন বেগ পেতে না হয় সেজন্য ইংরেজিতে নিজের নামের সঠিক ব্যবহারের দিকটির উক্তি সম্প্রতি ফেসবুকে তুলে ধরেছেন মেহজাবিন। সেখানে তিনি লিখেন, প্রিয় বন্ধু, সহকর্মী, সাংবাদিক ও ভক্তরা; আমার নামের বানান গঊঐঅতঅইওঊঘ। ভুল বানানের কারণে গুগল করলে অথবা ইউটিউবে সার্চ দিলে আমার পেশা খুঁজে পাই না। অনুগ্রহপূর্বক, বানান ঠিক লিখলে আমাদের সবার জন্য সুবিধা হয়। ধন্যবাদ। প্রসঙ্গত শুধু ‘বড় ছেলে’ই নয়, এবার ঈদে মেহজাবিন প্রশংসিত হয়েছেন তার ভিন্ন নাটকগুলোর মধ্যে দিয়েও। তানিয়া আহমেদের ‘মধ্যদুপুর’, মাবরূর রশীদ বান্নাহর ‘মেয়েটির হাতে জাদুর প্রদীপ’, ‘ছেলেটি অবন্তীকে ভালোবেসেছিল’ ও ‘তুমি আমি এবং আমরা’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘ব্যাচ ২৭: দ্য লাস্ট পেজ’, সাজ্জাদ সুমনের ‘মুক্তা ঝরা হাসি’, মেহেদি হাসান জনির ‘গল্পটা তোমারই’, মেহেদি হাসান হৃদয়ের ‘ময়না ও মজনুর গল্প’, শুভ্র খানের ‘তোকে ভালোবেসে’ প্রভৃতি নাটকেও দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন মেহজাবিন। সব মিলিয়ে বলা চলে এবারের ঈদটিতে সর্বাধিক সফল অভিনেত্রীও ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে মেহজাবিন বলেন, দেখুন সবচেয়ে সফল যেহেতু জানি না। সেটার বিচারের পেশা দর্শকদের। তবে আমি প্রচুর চেষ্টা করেছি অভিনয়ের ক্ষেত্রে। নিজেকে ভেঙেছি ও গড়েছি। উদ্দেশ্য অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকদের অনুভূতিকে স্পর্শ করতে না পারলে সে অভিনয়ের কোনো মানে নেই। আমি সেই চেষ্টাটাই করছি। এখনও শিখছি প্রচুর কিছু। সারা জীবন অভিনয়ের শিক্ষার্থী হয়েই থাকতে চাই।