আর্চারির কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় মামুনের

657

কোয়ার্টার-ফাইনালে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি আবুল কাশেম মামুন। ভারতের প্রতিপক্ষের কাছে হেরে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের ব্যক্তিগত কম্পাউন্ডের সেরা আট থেকে ছিটকে গেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের অভিষেক ভার্মার কাছে ১৪৮-১৪১ স্কোরে হারেন মামুন। তিনটি করে তীর ছোঁড়ার প্রথম পর্বে ৩০-২৮ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় পর্বেও আরও খারাপ (৩০-২৭) করেন তিনি।
তৃতীয় পর্বে আরও দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পড়া মামুন চতুর্থ ও পঞ্চম পর্বে ঘুরে দাঁড়ান। যথাক্রমে ৩০ ও ২৯ স্কোর করেন। কিন্তু ভার্মাও একই স্কোর করায় সাত পয়েন্টের ঘাটতি আর পূরণ করার হয়নি মামুনের।
জমজমাট লড়াইয়ের পর কাজাখস্তানের আকবরআলি কারাবায়েভেকে ১৪৬-১৪৫ পয়েন্টে হারিয়ে সেরা আটে ঠাঁই করে নেন মামুন। প্রথম রাউন্ডে পাকিস্তানের আবদুল কাদিরকে ১৪১-১৩৮ পয়েন্টে হারানো এই আর্চার দ্বিতীয় রাউন্ডে চাইনিজ তাইপের ওয়েং ই-চেংয়ের বিপক্ষে ১৪৯-১৪৫ ব্যবধানে জিতেন।
সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে না পারার কারণ হিসেবে বাতাস অনুকূলে না থাকা আর অভিজ্ঞতার ঘাটতির কথা জানান মামুন।
“বাতাস একটু বেশি ছিল। অভিজ্ঞতারও অনেক ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে এ ধরণের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। তবে, এটাও সত্যি যে, এটাই আমাদের মান এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলতে পেরেই আমি খুশি।”
জমজমাট ফাইনালের পর এই ইভেন্টের স্বর্ণ জিতেছেন ভার্মা। পাঁচ পর্বে ১৫ তীরের লড়াই ১৪৭-১৪৭ সমতায় শেষের পর এক তীরের শুট আউটেও ১০-১০ সমতা ছিল। কিন্তু বুলসআইয়ের কাছাকাছি তীর থাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার কিম জংগোকে পেছনে ফেলে স্বর্ণ জিতেন ভার্মা।
বুধবার ছেলেদের ব্যক্তিগত রিকার্ভের স্বর্ণ জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি সেউনগিউন; মেয়েদের রিকার্ভের স্বর্ণ পেয়েছেন একই দেশের লি ইয়ুন গিওং।
মেয়েদের ব্যক্তিগত কম্পাউন্ডে সেরা হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সং ইয়ুন সো।