আরও ৩ লাখ রোহিঙ্গা আসার আশঙ্কা, ৩ হাজার কোটি টাকার সহায়তার আবেদন

259

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা ত্রাণ সংস্থাগুলো আগামি ছয়মাসের জন্য ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন, বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ৩ হাজার ৫৫৭ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার জন্য এই সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই শিশু। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৮ লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে।
২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার সামরিক বাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে থেকেই বাংলাদেশে ৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছিলো। আগামি ৬ মাসে আরও ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির আবাসন বিষয়ক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াকিনস বলেন, ‘কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গারা খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। তাদের অনেকেই এখন সেই বিভীষিকা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাদের বসবাসও করতে হচ্ছে অনেক মানবেতর পরিস্থিতিতে।
বাংলাদেশে ও ত্রাণ সংস্থাগুলো এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। সহায়তায় এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতনকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
তবে মিয়ানমার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তারা। গত বছর অক্টোবরেও পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিলো রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের সশস্ত্র এই বিদ্রোহী সংগঠনটি। সেসসময় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
আরও ৯১ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে বলে ধারণঅ জাতিসংঘের। ওয়াটকিনস বলেন, আমাদের লক্ষ্য ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকা। কারণ ইতোমধ্যে ৮ লাখের বেশি অবস্থঅন করছে। আর আগামি ৬ মাসে আরও ৩ লাখ রোহিঙ্গা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’