আমরা ক্ষমতায় এসে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি : প্রধানমন্ত্রী

642

রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জাতীয় পুষ্টি পরিষদের প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন তার সরকার দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এখন পুষ্টি নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ঠিক নয়, তাহলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবে না। তাদের নীতিই ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে না। বিদেশিদের কাছে হাত পেতে দেওয়া ছিল তাদের নীতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নীতি আলাদা। আমরা ক্ষমতায় এসে জনমুখী পদক্ষেপ নিই। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাদ্য মজুদও করি। দেশে সৃষ্ট বন্যার কারণে খাদ্য ঘাটতি হলেও তা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। বৈঠকে শুরুতেই বঙ্গবন্ধুকে স্মারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যে শুধু স্বাধীনতাই দিয়ে গেছেন, তা নয়। তিনি সব কিছু দিয়ে গেছেন। নয় মাসে সংবিধান দিয়ে গেছেন। একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় উন্নীত করে জাতির পিতা আমাদের সব কিছুই দিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, “যে উন্নয়নটা সাড়ে তিন বছরে জাতির পিতা করেছিলেন ১৫ অগাস্টের পর বাংলাদেশ আর সামনের দিকে এগোতে পারে নাই। ১৫ অগাস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশটাকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারা যাবে, তখনই পুষ্টি পূরণ করতে পারা যাবে। ১৯৯৬ সালের বিএনপি যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করে, তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল ৪০ লাখ মেট্রিক টন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখনও দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল ৩০ লাখ মেট্রিক টন।এ ছাড়াও সভায় প্রধানমন্ত্রী জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। উল্লেখ করেন শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসের বিষয়টিও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।