আমরা কেন কাউকে শান্তিতে বাঁচতে দিই না?

99

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। এ অভিনেতার সঙ্গে জুটি বেঁধে অসংখ্য নাটক-টেলিফিল্ম উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী।

গত ৪ নভেম্বর সহকর্মী অপূর্বর সুস্থতা কামনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন মেহজাবিন। তারপর এ পোস্টকে কেন্দ্র নেটিজেনরা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত মেহজাবিন চৌধুরী।

গতকাল রাতে মেহজাবিন চৌধুরী তার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ২০২০ সালের কিছু উপলদ্ধির কথা জানিয়ে এ অভিনেত্রী লিখেন—গত কয়েক মাসে উপলদ্ধি করতে পেরেছি—কাউকে কীভাবে ট্রল করতে হয়, কীভাবে কাজ থেকে দূরে রাখতে হয়, কীভাবে আক্রমণ করতে হয় এবং কীভাবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে হয়। যা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করে। হতাশা থেকে যখন একজন মানুষ এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এটিকে আত্মহত্যা বলা যায় না, বরং এটি হত্যা। পরে আবার আমরাই লিখি—‘আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি’। কিন্তু আমরা কেন কাউকে শান্তিতে বাঁচতে দিই না?

সবার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মেহজাবিন চৌধুরী আরো লিখেন—ব্যক্তিগতভাবে কেন কাউকে আক্রমণ করি? অথচ আপনি তাকে জানেন না, তার সঙ্গে আপনার কখনো দেখা হয়নি, কখনো কথাও বলেননি! প্রত্যেকের নিজের পছন্দমতো কাজ করার অধিকার রয়েছে। কাউকে বিচার করার আগে নিজেকে কেন জিজ্ঞাসা করি না, আমি কি এবং আমি আমার জীবনে কী করেছি?