আমনুরায় কৃষিভিত্তিক ইপিজেড হলে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেছেন, জেলার সদর উপজেলার আমনুরায় রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বিস্তীর্ণ কৃষিজমি রয়েছে। সেখানে কৃষিভিত্তিক ইপিজেড বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে জেলা ও আশপাশের এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য রেলপথে সহজে পরিবহন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এতে প্রায় ৫০ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
শনিবার দুপুরে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলার ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের বিভিন্ন দাবি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে।
অনুমোদিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সরাসরি রাত্রিকালীন অন্তঃনগর ট্রেন চালু, সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, বারঘরিয়া থেকে যাদুপুর-নয়াগোলা হয়ে আমনুরা পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও নয়াগোলায় মহানন্দা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, আমনুরা রেলস্টেশনের পাশে কৃষিভিত্তিক ইপিজেড স্থাপন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর উন্নয়নে সাসেক প্রকল্পের ৩২০ কোটি টাকা দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়ন, রহনপুর রেলস্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর ঘোষণা, ব্যবসায়ীদের জন্য সিঙ্গেল ডিজিট ব্যাংক সুদের হার পুনর্বহাল, মহানন্দা নদীর তীর ঘেঁষে বাইপাস সড়ক নির্মাণ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পানি সমস্যার সমাধানে গোদাগাড়ীর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সম্প্রসারণ।
আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এসব দাবি আপনাদের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। সাংবাদিকদের লেখনী ও প্রচারের মাধ্যমে এসব দাবি বাস্তবায়নে সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে প্রতিবছর সরকার প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। কিন্তু বন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। ফলে ভারতের মহদীপুরে পণ্যবাহী ট্রাক তিন-চার দিন আটকে থাকায় ব্যবসায়ীদের বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয় এবং পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তাই সোনামসজিদ স্থলবন্দরকে আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি।
তিনি জানান, কাস্টমস কর্মকর্তাদের আবাসন সুবিধা না থাকায় ২৪ ঘণ্টা বন্দর কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া রহনপুর রেলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
সবশেষে তিনি বলেন, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এসব দাবি তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।