আপাতত ডুব নিয়েই থাকতে চান তিশা

444

একসময়ের জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’র ১৯৯৫ সালের বিজয়ী নুসরাত ইমরোজ তিশা এখন বড় মাপের একজন অভিনেত্রী। ২০০৩ সালে বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকে পা রাখা মেয়েটির অভিনয় এ সময়ের দর্শকদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখে। ইদানীং তিশা কী করছেন? উত্তরে তিনি বলেন, এখন মুক্তির অপেক্ষায় থাকা আমার অভিনীত ‘ডুব’ ছবির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে। আগামীকাল ছবিটি বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যে আমরা ঢাকার বিভিন্ন ক্যাম্পাসে গিয়ে ছবির প্রচারণায় অংশ নিয়েছি। এ সময় আমার সঙ্গে চিরকুট টিম ও ছবির নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন। ‘ডুব’ ছবির একমাত্র গান ‘আহারে জীবন’ গেয়েছে চিরকুট। গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে গিয়েছি। সবাই মিলে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করায় বেশ মজা হচ্ছে। সবাই ছবিটি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করছে। আমরা উত্তর দিচ্ছি। ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে। এ ছবিতে আপনার সঙ্গে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান খান অভিনয় করেছেন। তার সম্পর্কে বলুন? এ প্রশ্নের জবাবে তিশা বলেন, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে ইরফান খানকে যতটুকু সময় দেখেছি বেশ ভালো মনে হয়েছে। আর আমার মনে হয়, ব্যক্তি মানুষ ভালো হলেই শিল্পীও ভালো হবে। আমি ইরফান খানের সহশিল্পী হিসেবে কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। শুটিংয়ে বিভিন্ন সময় বাচ্চাদের মতো প্রশ্ন করে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছেন। জানার অনেক আগ্রহ দেখেছি মানুষটার মধ্যে। আমি তার সঙ্গে কাজ করে এতটাই আনন্দিত যে, সামনে নতুন কাজের প্রস্তাব পেলে অবশ্যই ‘হ্যাঁ’ বলব। এদিকে ‘ডুব’ ছবি মুক্তির আগে আন্তর্জাতিক কিছু উৎসব ঘুরে এসেছে। আর সেই সফরে নির্মাতা ফারুকীর সঙ্গে ছিলেন তিশাও। এই যেমন ছবিটি নির্বাচিত হয়েছিল মিশরের এল গোনা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে। সেই উৎসবে অংশ নিতে তারকা দম্পতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা মিশরে গিয়েছিলেন। এই উৎসবের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিশা বলেন, বাইরের দেশে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি ছবিটির। ছবিতে সাব টাইটেল দেয়া ছিল। উৎসবের ফাঁকে মিশরের নানা স্থানে ঘুরেও বেড়িয়েছি। পিরামিড দর্শন করেছি। ভালোই লেগেছে মিশর সফর। এর আগে তিশা শৈশবে একবার বাবার সঙ্গে গিয়েছিলেন প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য পিরামিড দেখতে। আবারো ইরফান খান প্রসঙ্গ। ছবির গল্পটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে। সেই ক্ষেত্রে সংলাপ দিতে ইরফান খানের কোনো সমস্যা তিশার চোখে পড়েছিল কী? এর উত্তরে এ অভিনেত্রী বলেন, অনেক পরিশ্রমী একজন শিল্পী ইরফান খান। তিন মাস বাংলা শেখার পর তিনি সংলাপ দিয়েছেন। অনেক কিছু আমি তার কাছে শিখেছি। আর সহশিল্পী যখন ভালো বা বিখ্যাত কেউ হয় তখন কাজ করতে কার না ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় বিষয় কাজটিও সুন্দর হয়। আশা করি, ‘ডুব’ দর্শকের মন জয় করবে। এদিকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘ডুব’ মুক্তির আগে নতুন ছবির ঘোষণা দিয়েছেন। নাম ‘স্যাটারডে আফটারনুন’ বা ‘শনিবার বিকেল’। এরইমধ্যে এ ছবির দুজন শিল্পী চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয় করবেন এতে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ছবিতে ফিলিস্তিনের চলচ্চিত্র তারকা ইয়াদ হুরানিও অভিনয় করবেন। ডিসেম্বরে শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। আর বিশেষ কিছু এখন বলতে চাই না। কিন্তু প্রধান চরিত্রে আরো অনেকে থাকবেন বলে জেনেছি। আপাতত ‘ডুব’ নিয়ে থাকতে চাই। এরপর আমার অভিনীত ‘হালদা’ ছবিটি মুক্তি পাবে। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত এ ছবিটি নিয়েও আমি বেশ আশাবাদী। ‘ডুব’ মুক্তি পাবার পর এ ছবির প্রচারণায় অংশ নেবো। আর নাটক? উত্তরে সবশেষে বলেন, ছোট পর্দা নিয়ে আপাতত ভাবছি না। কাহিনি পছন্দ হলে বিশেষ দিবসে কাজ করতেও পারি।