আপনার শরীরে যা হয় দিনে ৩ টি খেজুর খেলে

541

খেজুর খুবই উপকারী একটি খাবার। আমারা কেবল রোজার মাসেই খেজুর খেয়ে থাকি। আপনি যদি প্রতিদিন ৩ টি করে খেজুর খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করবেন সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

১। পুষ্টি
খেজুরে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে। দিনে ৩ টি করে খেজুর খেলে আপনার ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। খেজুরে পাওয়া যায় কপার, পটাসিয়াম, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি ৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম। তাই আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণে অনন্য খেজুর।

২। পরিপাক
খেজুর হজম সহায়ক খাবার। যদি আপনার আইবিএস, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যা বা পরিপাকের অন্য কোন সমস্যা থাকে তাহলে খেজুর আপনাকে সহায়তা করতে পারে। খেজুরে উপস্থিত ফাইবার কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। অর্শ রোগের চিকিৎসায় খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

৩। ব্যথা
খেজুরে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে বলে ব্যথা দূর করতে ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, খেজুরের ম্যাগনেসিয়াম ধমনীর ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর পাশাপাশি অন্য ইনফ্লামেশনজনিত সমস্যা যেমন- আলঝেইমার্স, আরথ্রাইটিস ও অন্যান্য সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৪। গর্ভাবস্থা
ফিলিপাইন এর ইউনিভার্সিটি অফ সান্তো টমাস এর করা গবেষণায় জানা যায় যে, খেজুর প্রসবকে সহজ হতে সাহায্য করে। গবেষকেরা ৬৯ জন নারীর উপর গবেষণা করেন। তারা দেখেন যে, যে নারীরা গর্ভাবস্থার শেষের ৪ সপ্তাহে খেজুর খান তাদের প্রসব সহজে হয়। প্রসব পরবর্তী ওজন কমাতেও সাহায্য করে খেজুর।

৫। উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোক
খেজুরে ম্যাগনেসিয়াম থাকে বলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। খেজুরে পটাসিয়াম ও থাকে যা হৃদপি-ের কাজ স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমায়। প্রায় ৭ টির মত গবেষণায় প্রমাণ করা হয়েছে যে, ম্যাগনেসিয়াম স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করা হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে ১০%। এই গবেষণাটি আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এ প্রকাশিত হয়েছিলো এবং এতে স্পষ্টভাবেই দেখানো হয় যে, খেজুর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৬। মস্তিষ্ক
খেজুরে উপস্থিত উপাদান নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবং এতে দেখানো হয়েছে যে, এদের সাথে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক বিদ্যমান। আপনি যখন প্রচুর ভিটামিন বি ৬ গ্রহণ করবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করবে। অর্থাৎ আপনি ভালোভাবে ফোকাস করতে পারবেন, সঠিকভাবে মনে রাখতে পারবেন এবং তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত কাজ করতে পারবেন। খেজুর আপনার মস্তিষ্ককে বা মনকে ধারালো হতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে অনেক বেশি শিখতে সাহায্য করবে।