আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান

150

২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা হাইলাইটস আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ। বেঙ্গালুরুতে সেদিন ৩২৮ রানের টার্গেট পেয়েছিল আইরিশরা। ম্যাচ শেষে চারদিকের আবহ- কীভাবে সম্ভব! সেদিন ৫ বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারায় আয়ারল্যান্ড, নায়ক কেভিন ও’ব্রায়েন। বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন ওই দিন। এই লিজেন্ডারি ব্যাটসম্যান মঙ্গলবার বিদায় বললেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।

টুইটারে এক ঘোষণায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ও’ব্রায়েন। অবসরের কারণ নিয়ে কোনও ধরনের রহস্য করেননি। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলে ডাক পাননি। এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু নির্বাচক ও ম্যানেজমেন্টের মনোভাব দেখে বুঝতে পেরেছেন, তার সময় ফুরিয়ে গেছে।

তিনি বলেছেন, ‘আমার দেশের হয়ে ১৬ বছর ও ৩৮৯ ম্যাচ খেলার পর আজ আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলাম। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আমার ক্যারিয়ার শেষ করবো ভেবেছিলাম। কিন্তু গত বছরের বিশ্বকাপের পর থেকে আইরিশ স্কোয়াডে আমি ডাক পাইনি। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচকরা ও ম্যানেজমেন্ট অন্য কাউকে ভাবছে।’

অবিস্মরণীয় সব কীর্তি গড়ে ১৬ বছরের সমৃদ্ধশালী ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ও’ব্রায়েন। সহযোগী সদস্য থেকে টেস্ট স্ট্যাটাস এনে দিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র বলা চলে তাকে। রয়েছে একাধিক ব্যাটিং রেকর্ড। ওয়ানডেতে ১১৪ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের শীর্ষ উইকেটশিকারি।

তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে। ৬৩ বলে তার ১১৩ রানের ইনিংসে ছিল ১৩ চার ও ৬টি ছয়। এই রেকর্ড পরের দুটি বিশ্বকাপেও ছিল অক্ষত।

৩৮ বছর বয়সী ও’ব্রায়েন এরই মধ্যে কোচিংয়ে কোমর বেঁধে নেমেছেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লিগে ইতালির স্টাফ দলের সদস্য তিনি এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইয়ে চোখ রেখে তাকে কনসালট্যান্ট নিযুক্ত করেছে এস্তোনিয়া।