আগামী সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব ছাড়বেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
আগামী সেপ্টেম্বরে সরকার প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা হিসেবে তিনি পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার চেষ্টা করবেন না বলেও জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা এসব কথা জানান। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেম্টেম্বর মাসে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিশিদার মেয়াদ শেষ হবে।
এরপর নতুন মেয়াদে দলের দায়িত্ব নিতে আর নির্বাচন করবেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে আমার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যা কিছু করা সম্ভব সব করবো আমি।’ ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিশিদার তিন বছরের মেয়াদকালের অবসান ঘটবে।
২০২১ সালের অক্টোবরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কিশিদা। দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে এলডিপি পার্টির জড়িয়ে পড়া, বাড়তে থাকা জীবনযাত্রার ব্যয় ও ইয়েনের মান পড়ে যাওয়ার মতো কয়েকটি কারণে কিশিদার প্রতি জনসমর্থন তলানিতে নেমে গেছে। গত মাসে তার পক্ষে জনসমর্থন নেমে মাত্র ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সর্বনিম্ন জনসমর্থন এটি। গত মাসে অপ্রত্যাশিতভাবে সুদহার বাড়িয়েছে জাপানি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর জেরে শেয়ার বাজারে অস্থিতিশীলতা ছাড়াও জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দরপতন হয়েছে। গত মাসে জাপানি সংবাদমাধ্যম জিজি প্রেসের এক জনমত জরিপে দেখা যায়, কিশিদার জনসমর্থন এখন ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে গেছে, যা ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এলডিপি পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর সর্বনিম্ন। আগামী ২০২৫ সালে জাপানের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা অষ্টম নেতা কিশিদা। রয়টার্স জানিয়েছে, কিশিদার সরে যাওয়ার ঘোষণায় এলডিপি পার্টিতে নতুন দলীয় প্রধান ও এর ধারাবাহিকতায় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।