আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর রহনপুর মুক্ত দিবস

আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর গোমস্তাপুর উপজেলা সদর রহনপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১১ডিসেম্বর এ শহর হানাদার মুক্ত হয়। দিবসটি পালনে এবার নেই কোন কর্মসূচি। এই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সোনার্দী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ এলাকা ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল। ১৯৭১ সালে ১১ ডিসেম্বর চাঁড়ালডাঙ্গা এলাকার ১৩ জন রাজাকারকে ধরে ভোলাহাট থানায় জমা দেওয়া হয়। তিনি বাঙ্গাবাড়ী, আলিনগর এলাকার বিএলএফ কমান্ডার ছিলেন। তাঁর ক্যাম্প ছিল আলিনগর স্কুল ও কলেজের পেছনে। ১১ ডিসেম্বর আলমপুর ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট রফিক, আনসার মোজাহিদ তুরফান,ক্যাপ্টেন আলতাফ, আনিসুরের নেতৃত্বে বিভিন্ন দিক থেকে প্রায় দুইশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা রহনপুর অভিমুখে রওনা হয়। এছাড়া মহানন্দা নদী পেরিয়ে বোয়ালিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা রহনপুরে প্রবেশ করে।মুক্তিযোদ্ধারা রহনপুরে প্রবেশের আগেই রাতে পাক সেনারা রহনপুর এবি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা তাঁদের সেনাক্যাম্প গুটিয়ে রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে করে পালিয়ে যায় এবং রহনপুর শহর মুক্ত হয় রহনপুর শহর মুক্ত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা নাচোল-আমনুরা হয়ে রাজশাহী জোহা হলে অবস্থান নেয়। সেখানে তাঁরা আনন্দ মিছিল বের করে। ওই এলাকাগুলো মুক্ত করতে। রহনপুর পৌরসভার সাবেক কমান্ডার ও সেনা সার্জেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বলেন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর নির্দেশে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন তিনি। তাঁর আনসারের ট্রেনিং ছিল। তিনি সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন। সেসময় তাঁর কাছে রাশিয়া এসএলআর অস্ত্র ছিল। ১০ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের নির্দেশে বোয়ালিয়া এলাকার দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম ও লেঃ রশিদকে পাক বাহিনী উপর আক্রমনের নির্দেশ দেন। তারা সকলেই একত্রিত হয়ে রহনপুরের পাক সেনাক্যাম্পের দিকে এগিয়ে আসার আগেই তাঁরা ট্রেনে করে পালিয়ে যায়। রহনপুর শহর মুক্ত হয়। পরে তিনি রাজশাহী হয়ে সৈয়দপুর এলাকা মুক্ত করতে যান। সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল বলেন, রহনপুর মুক্তদিবস পালনে এবার নেই কোন কর্মসূচী।