অহনার ভরসা টিভি পর্দা

199

বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে মিডিয়ায় অভিষেক ঘটে অহনার। এরপর টিভি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। টানা মডেলিং ও টিভি নাটকে সমান উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০৮ সালে রকিবুল আলম রকিবের ‘চাকরের প্রেম’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। পরে ‘জলদস্যু রক্তরহস্য’ নামের ভিন্নধর্মী একটি ছবিতে অভিনয়ে তাকে দেখা যায়। চলচ্চিত্রে নাম লেখালেও সেখানে তেমন একটা সফলতার মুখ দেখেননি এ অভিনেত্রী। নিজেকে সব রকমভাবে মেলে ধরার ক্ষেত্রে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না তার। কিন্তু এরপরও সিনেমায় জায়গা করে নিতে পারেননি। সে কারণে একপর্যায়ে নিজেকে সরিয়ে নেন এ মাধ্যমটি থেকে। এর প্রায় তিন-চার বছর পর তাকে আবার বড় পর্দায় ফিরিয়ে আনেন নির্মাতা এফআই মানিক। ছবির নাম ‘দুই পৃথিবী’। গত বছরের জুনে মুক্তি পায় এটি। এ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন অহনা। তাকে শেষবারের মতো বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল প্রয়াত নির্মাতা পি এ কাজল পরিচালিত ‘চোখের দেখা’ ছবিতে। এতে সায়মনের বিপরীতে বেশ খোলামেলা হয়েই অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু ফলাফল শূন্য। বড় পর্দায় শত চেষ্টা করেও অবস্থান তৈরি করতে না পারায় টিভি নাটকে অভিনয়েই মনোযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এ অভিনেত্রী। বর্তমানে তার অভিনয়ে একাধিক ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘সালিশ মানি তালগাছ আমার’, ‘কমেডি-৪২০’, ‘নোয়াশাল’সহ আরও কয়েকটি নাটক। অহনা বলেন, টিভি নাটকেই ব্যস্ত আছি। কাজ করছি বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক ও খ- নাটকের। বিশেষ করে গল্পগুলো মনের মতো হওয়ায় কাজ করতে উৎসাহ পেয়েছি। ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি অসন্ন ঈদ উপলক্ষে বেশ কয়েকটি খ- ও ধারাবাহিক নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। বিশেষ দিবসের কাজের ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এরই মধ্যে ছয় পর্বের তিনটি ধারাবাহিকে কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া মোহন খানের পরিচালনায় দুটি নাটকে কাজ করলাম। একটিতে রিয়াজ ভাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করছি। আরেকটিতে আছেন আব্দুর নূর সজল। এ ছাড়া ‘খালি কলসি বাজে বেশি’ নামের একটি খ- নাটকের কাজ করেছি। আরও বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ শুরু করব। কথা চূড়ান্ত হয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় নিয়ে এখন কোনো পরিকল্পনা নেই অহনার। শোবিজে চলাচলের ক্ষেত্রে টিভি পর্দাকেই এখন ভরসার জায়গা মনে করছেন তিনি। তাই এ মাধ্যমটিতেই ব্যস্ত থাকার কথা জনালেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘বিনোদন বিচিত্রা’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন অহনা রহমান। সেখানে প্রথম রানার-আপ ফটোসুন্দরী হয়েছিলেন।