অস্ট্রেলিয়া দলের কোচের তালিকায় থাকা সম্ভাব্য পাঁচজন

201

বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট শেষেই অস্ট্রেলিয়া দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ড্যারেন লেহম্যান। তাই এবার মহা কেলেঙ্কারীতে জর্জরিত দলের নতুন কোচ হিসেবে নতুন কাউকে খুঁজে নিতে হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। আজ শুরু হওয়া টেস্টে আগে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেহম্যান।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র পর্যবেক্ষণে লেহম্যানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এমন পাঁচ জন :

জাস্টিন ল্যাঙ্গার:
লেহম্যানের বদলী হিসেবে বেশ কিছু দিন যাবতই সাবেক ওপেনিং টেস্ট ব্যাটসম্যান জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও বিগ ব্যাশ লীগে পার্থ স্কোর্চার্সের কোচ হিসেবে সফল হওয়ায় তাকে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজে লেহম্যানের জায়গায় অস্ট্রেলিয়া দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ ছাড়া গত বছর ভারত সফরে টেস্ট সিরিজের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিজ মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১০৫ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ব্যাটিং গড় ৪৫.২৭। একজন সাহসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ল্যাঙ্গার নিজেও জাতীয় দলের কোচ হতে আগ্রহী। একটি দলের খেলোয়াড়দেরকে ব্যক্তিগভাবে বুঝতে সক্ষম ও তাদের সেরাটা বের করে আনার সঠিক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে।

রিকি পন্টিং:
অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ও সাবেক এ অধিনায়ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবার থেকে নিজকে দূরে সরিয়ে রাখতে আগ্রহী নন। জাতীয় টি২০ দলের কোচ হিসেবে বিবেচতি হওয়া পন্টিং সংক্ষিপ্ত ভার্সনে দুইবার পরামর্শক হিসেবে দারুন সাফল্য পেয়েছেন। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) কোচ হিসেবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে গত বছর লেহম্যান তার নাম সুপারিশ করেছিলেন।

জেসন গিলেস্পি:
এ বছর বিগ ব্যাশ টি২০ লীগে এডিলেড স্ট্রাইকার্সের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এ টেস্ট পেসার। তাঁর অিেধনই চলতি বছর শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত বিগ ব্যাশে প্রথমবারের মত শিরোপা জয় করে স্ট্রাইকার্স। এ ছাড়া অতীতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটেও সাফল্যের সঙ্গে ইয়র্কশায়ারের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার অধীনেই ২০১৪ ও ২০১৫ মৌসুমে পরপর দুই বার ইংলিশ কাউন্টিতে প্রথম বিভাগে শিরোপা জয় করেছে ইয়র্কশায়ার। টুর্নামেন্টে ৭৬টির মধ্যে মাত্র ৫ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে তার দল। ২০১৫ এ্যাশেজ সিরিজের আগ মুহুর্তে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌঁড়েও ছিলেন তিনি।

ডেভিড সাকের:
গত বছর ভারত সফরে ওয়ানডে সিরিজে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন অস্ট্রেলিয়া দলের বোলিং মেন্টর ডেভিড সাকের। ২০১৬-১৭ মৌসুমে একবারই শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সাকের এবং দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন। ইতোপুর্বে তিনি অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ব্র্যাড হ্যাডিন:
গত ছয় মাস যাবত অস্ট্রেলিয়া দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এ টেস্ট উইকেটরক্ষক। হ্যাডিনের হয়তোবা সীমিত ওভারের কোচের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। তবে তার দক্ষতা সুবিদিত। অস্ট্রেলিয়া এ দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে হ্যাডিনের। এ ছাড়া সম্প্রতি তিনি ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারে দেশটির সেরা উইকেটরক্ষকদের নিয়েও কাজ করেছেন।