অস্ট্রেলিয়া এবার ‘হোয়াইটওয়াশ’ চায়

260

দু’বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩-২ ব্যবধানে অ্যাশেজ হাতছাড়া হয় অস্ট্রেলিয়ার। তখন কেই বা জানতো, দু’বছর বাদে এতটা ধ্বংসাত্মক ভঙ্গিমায় তার শোধ নেবে স্টিভেন স্মিথের দল। চলমান এই মহারণের প্রথম তিনটাই জিতে গেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। ৩-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ এরইমধ্যে পকেটে নিয়ে ফেলা স্বাগতিকরা এখানেই থামতে চায় না।
এবার তাদের লক্ষ্য ‘হোয়াইটওয়াশ’। তাই আসছে দুই ম্যাচকে তাই আর ¯্রফে নিয়মরক্ষার লড়াই বলা যাচ্ছে না। এমনটাই জানালেন কোচ ড্যারেন লেহম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা তিনটা ম্যাচই জিতে গেছি। চাইলে এটাকে স্বস্তি হিসেবে দেখা যায়। নিজেদের মাঠে লড়াই। ফলে, এখানে আমাদের সামর্থ্যরে পুরোটা দেখানোর সুযোগ আছে। আমরা নির্ভার থাকছি না। এবার আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জয়। শেষ দুটি ম্যাচে ইংলিশদের এক বিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না।
শুধু দেশের মাটিতে নয়, দেশের বাইরেও কিভাবে নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানো যায় সেসব নিয়ে ভাবছেন এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ। তিনি স্পষ্ট করেই বললেন, তার দলের লক্ষ্য এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে তাদের হারিয়ে আসা।
পার্থে ক’দিন আগেই ইনিংস ও ৪১ রানে তৃতীয় টেস্ট জিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অ্যাশেজ মিরোপা পুনরুদ্ধার করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তবে দুই বছর বাকি থাকলেও অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী অ্যাশেজ সিরিজ জয়। যা অসিদের জন্য মোটেই সহজ নয়। কেননা সর্বশেষ ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে একটি অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
নিজ মাঠে আরেকটি অ্যাশেজ শিরোপা জিতলেও ইংল্যান্ডের মাটিতে জয় পাওয়াটা কঠিন হবে মনে করলেও লেহম্যান বলেন অস্ট্রেলিয়ার মেধাবী তারুণ্য নির্ভর দলটি আরো ভাল অবস্থানে থাকবে।
লেহম্যান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এই দলটির সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আশা করি সবাই মিলে চেষ্টা করলে তারা সেটা করতে পারবে। তারা বয়সে যথেষ্ট তরুণ এখনো বেশ কয়েক বছর একত্রে খেলতে পারবে এবং গত এক বছর আগে আমাদের জন্য এটাই ছির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য এ সময়ে বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কে আমরা পরিবর্তন করেছি।’
তবে, ইংল্যান্ডকে যে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই সেটাও জানিয়ে দিলেন লেহম্যান। তিনি বলেন, ‘ওরা (ইংল্যান্ড) কিছু ভাল তরুণ খেলোয়াড় পেয়েছে। আমরা সঠিক সময়ে তাদেরকে চাপে রাখতে পেরেছি এবং আশা করছি আগামি দুই ম্যাচেও সেটা অব্যাহত রাখতে পারব। তবে এ সকল খেলোয়াড়ের মধ্যে কেউ কেউ আগামি অ্যাশেজে খেলবে। সুতরাং আমাদের পরিকল্পনার উন্নতি ঘটাতে হবে এবং আরো ভাল হতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ান দলের এখন সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, অ্যাশেজের ফয়সালা এরইমধ্যে হয়ে গেছে। ফলে স্টিভেন স্মিথের দল চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছে। তাই প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সাথে সাথে উপভোগ করার দিকেও জোর দিলেন কোচ। তিনি বলেন,
ইতোমধ্যেই সিরিজের ফয়সালা হয়ে যাওযায় বক্সিং ডে টেস্ট হবে মূল্যহীন। চাপ না থাকায় তার দল কেমন খেলবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন লেহম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ভাল মানের ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে অবশ্যই আমাদের চাপ কম থাকবে। এমন অবস্থায় ছেলেরা কেমন খেলে সেটা দেখাটা হবে মজার বিষয়। আমি চাই ওরা উপভোগ করুক।’