অস্ট্রেলিয়ার দিন ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে

296

মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিন দারুণ লড়াই করলেন ইংলিশ বোলররা। তবে তাদের হতাশ করে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। যথারীতি আবার দাঁড়িয়ে গেছেন স্টিভেন স্মিথ।
চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪৪ রান। অধিনায়ক স্মিথ ৬৫ ও শন মার্শ ৩১ রানে অপরাজিত। চতুর্থ উইকেটে দুই জনে এরইমধ্যে গড়েছেন ৮৪ রানের জুটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে পায় ভালো সূচনা। এক দিকে ভুগছিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট, অন্য প্রান্তে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার।
প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে ১০২ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। এর ৮৩ রান আসে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সেশনে নিজের ২১তম সেঞ্চুরির দেখা পান বাঁহাতি এই ওপেনার।
তার আগেই ফিরতে পারতেন ওয়ার্নার। অভিষিক্ত টম কুরানের বলে ৯৯ রানে ধরা পড়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডের হাতে। ‘নো’ বলের কল্যাণে বেঁচে যাওয়া বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান পরের বলে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। মেলবোর্নে দ্বিতীয়বারের মতো টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান এরপর বেশি বেশিক্ষণ টিকেননি।
১৫১ বলে ১৩টি চার ও একটি ছক্কায় ১০৩ রান ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশকে স্পর্শ করেন জেসন অ্যান্ডারসন। টেস্টে দুই জনেরই উইকেট ৫১৯টি করে।
এর আগে নড়বড়ে ব্যানক্রফটকে ফিরিয়ে ১২২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ক্রিস ওকস। লম্বা সময় উইকেটে থাকলেও স্বচ্ছন্দ ছিলেন না স্বাগতিক ওপেনার। ৯৫ বলে দুটি চারে ব্যানক্রফট করেন ২৬ রান।
প্রথম সেশনে দ্রুত এগোনো অস্ট্রেলিয়া দুই ওপেনারের বিদায়ে খেই হারায় দ্বিতীয় সেশনে। মধ্যাহ্ন-বিরতি থেকে চা-বিরতিতে যেতে যোগ করে মাত্র ৪৩ রান।
৬৯ ওভার উইকেটশূন্য থাকা ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের অপেক্ষার অবসান হয় রানের জন্য সংগ্রাম করা উসমান খাওয়াজাকে ফিরিয়ে। দিনের বাকি সময়ে আর কোনো সাফল্য পায়নি অতিথিরা।
আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা স্মিথের সঙ্গে দ্রুত জমে উঠে মার্শের জুটি। তাদের দৃঢ়তায় শেষ সেশনে ৯৯ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের সামনে আরেকবার রানের পাহাড়ে চাপা পড়ার শঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮৯ ওভারে ২৪৪/৩ (ব্যানক্রফট ২৬, ওয়ার্নার ১০৩, খাওয়াজা ১৭, স্মিথ ৬৫*, মার্শ ৩১*; অ্যান্ডারসন ১/৪৩, ব্রড ১/৪১, ওকস ১/৬০, মইন ১/৩৫, কুরান ০/৪৪, মালান ০/২০)