অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
আগামী বছরের ১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী এশিয়া কাপ ২০২৬। এবারই প্রথমবারের মতো মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আজ সিডনির বিখ্যাত হারবার ফ্রন্টে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১২ দলের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াসহ তাইওয়ান, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের কোচ ও খেলোয়াড়রা। কিন্তু বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপান, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও ফিলিপাইনের কোনো প্রতিনিধি এই ড্র অনুষ্ঠানে ছিল না। পিটার বাটলারের শিষ্যরা রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ—চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে: অস্ট্রেলিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান, ফিলিপাইন। আর ‘সি’ গ্রুপে: জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, চাইনিজ তাইপে। এই এশিয়া কাপ শুধু একটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট নয়, বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাওয়ার মঞ্চ। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই বাংলাদেশের সামনে খুলে যেতে পারে ২০২৭ ব্রাজিল নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা।
সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।