কিছুদিন আগেই কলকাতার অভিনেত্রী প্রিয়াংকা সরকার বাংলাদেশের ছবি ‘হৃদয় জুড়ে’-এর শুটিং শুরু করেন। দিন কয়েক চিত্রনায়ক নিরবের বিপরীতে কাজ করার পর নিজ দেশে ফিরে যান নায়িকা। এর মাঝে কেটে গেল দেড় মাসেরও বেশি। ছবির পরবর্তী লটের শুটিং আর শুরু হয়নি। জানা গেছে প্রিয়াংকা মাত্র ২০ শতাংশের মতো কাজ করে চলে গেছেন। বাকি প্রায় ৮০ শতাংশ। এর মাঝে অবশ্য নায়ক নিরব শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে নির্বাচনের দোহাই দিয়ে তো আর আসল রহস্য আড়াল করা যায় না। প্রিয়াংকার বাংলাদেশের ছবিতে আর না আসার পেছনে লুকিয়েছিল অন্য গল্প। যা তিনি নিজ দেশের সংবাদমাধ্যম ‘এবেলা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করে দিয়েছেন। সে সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াংকাকে ছবির পরিচালক রফিক শিকদার নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হোয়াটস আপের ম্যাসেজের মাধ্যমে নায়িকাকে প্রেম নিবেদন অতঃপর বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে শুটিং চলাকালে মেকআপ রুমে প্রিয়াংকার কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা চাইতেন বলেও অভিযোগ করেছেন নায়িকা। মূলত এসব কারণেই নায়ক নিরবের সঙ্গে জুটি বেঁধে শুরু করা বাংলাদেশের প্রথম ছবির কাজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন প্রিয়াংকা। এরই মধ্যে শোনা গেছে, রফিক শিকদার ছবির কাজে বিভ্রাট এড়াতে নায়িকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলেও তা নেয়া থেকে বিরত থাকছেন। তিনি বলেছেন, প্রিয়াংকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত থেকে আমি সরে এসেছি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিছু শ্রদ্ধেয় মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাকে এই মুহূর্তে কোনো আইনি জটিলতায় না জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এখনই যদি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ি, তাহলে পুরো প্রজেক্টটাই অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যাবে। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, এরই মধ্যে ‘হৃদয় জুড়ে’ ছবি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, এ ছবিতে প্রিয়াংকা আর কলকাতা থেকে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। জানা গেছে, নায়িকা তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই ছবির কাজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রিয়াংকা।
