Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

অচলাবস্থায় মিয়ানমারের গণতন্ত্রে উত্তরণ : জাতিসংঘের মানবাধিকার প্যানেল

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের গণতন্ত্রে উত্তরণ অচলাবস্থায় এসে ঠেকেছে। কারণ কর্তৃপক্ষ সমালোচনাকারীদের দমন ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার এই মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান একথা বলেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে স্বতন্ত্র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান বলেন, যে কোনও সরকারের সুবিবেচনা গ্রহণ করা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়। এটা নির্ভর করে নেতাদের ওপর যারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ক্ষতিকর ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করেন। গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ফ্যাক্টি ফাইন্ডিং মিশন তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি ৭০০ পৃষ্ঠার। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের সারাংশ আগস্টের শেষ দিকে প্রকাশ করা হয়। তাতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযানকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ থেকেই রাখাইনের অভিযানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবেদনটিতে গণহত্যায় জড়িত থাকার জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার বিচার দাবি করা হয়। এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান। বাকি দুই সদস্য হলেন, শ্রীলঙ্কার আইনজীবী ও নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ রাধিকা কুমারস্বামী এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মানবাধিকার কমিশনার ও দেশটির আইন সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য সিডোটি। গত বছরের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। মিয়ানমার সরকার বারবারই দাবি করে আসছে যে,নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী।

Exit mobile version