৬ দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৩ ঘন্টাব্যাপী সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়ক অবরোধ
৬ দফা দাবিতে ৩ ঘন্টাব্যাপী চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বারঘরিয়া চত্বর এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট এর সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে অবরোধটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর প্রান্তে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতুর উপর বিস্তৃত হয়ে সেতুর দু’প্রান্তের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। অবরোধ চলাকালীন তীব্র গরমে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। আটকা পড়ে আমদানী পণ্যবাহী শত শত ট্রাক।
অবরোধকালীন ছয়দফা দাবি নিয়ে কথা বলেন সরকারি পলিটেকনিক ইনিষ্টিষ্টিউট শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান (কম্পিউটার),আব্দুর রাহিম,মো:পলাশ,মো.মোারসালিন (ইলেকট্রনিক্স) প্রমুখ। তাঁরা বলেন,পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট সমূহে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পদোন্নতি গ্রহণযোগ্য নয়। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আন্তর্জতিক কারিবুলাম ও মানদন্ড অনুযায়ী চার বছর মেয়াদী ইংরেজী মাধ্যমে করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ গ্রেডে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কারিগরি প্রশাসন কারিগরি জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। সকল শুণ্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি টেকনিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে ইত্যাদি।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবে ব্যস্ত মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেবার অনুরোধ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন। তিনি একটি প্রতিনিধিদলকে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনায় বসার আহব্বান জানান। এ সময় অবরোধ তুলে নেবার অনুরোধ জানান সরকারি পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট উপাধ্যক্ষ-১ ওমর ফারুক এবং উপাধ্যক্ষ-২ সেলিম আহমেদ,ইন্সট্রাকটর আজিজুল হক প্রমুখ। এরপর শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা কওে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহার শুরু হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংম্লিস্ট কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাথে আলোচনার কথা জানান। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিউর রহমান বলেন, সকাল ১০টার দিক থেকে মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের জমায়েত শুরু হয়। অবরোধ তুলে নেবার পর দুপুর ২ টা নাগাদ মহাসড়ক সম্পূর্ণ চলাচল উপযোগী হয়। দীর্ঘ সময়ে মানুষের ভোগান্তি ও যানজটের সৃষ্টি হলেও ভাংচুর বা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি। অবরোধকালীন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।