১০ উপকারিতা ফুলকপির

 ফুলকপি শীতের মৌসুমের অন্যতম সুস্বাদু সবজি। শীতের শাকসবজিতে একটু বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে। এসব পুষ্টিগুণ শরীরের শক্তি জোগান দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ায় রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফুলকপিতে কী কী খাদ্য উপদান আছে আর কী কী উপকার করে আমাদের? পুষ্টিতে ভরপুর ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি চর্মরোগ ও ক্ষত সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন কে হাড়ে গঠনে ভুমিকা রাখে, ফাইবার হাজশক্তি বাড়াও ও কোষ্টকাঠিন্য দূর করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
হজম শক্তি বাড়ায় : ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। হজমে সাহায্য করে। নিয়মিত ফুলকপি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পাইলস ব্যাথ্যাতে রোগের জন্য ফুলকপি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে : ফুলকপি কম ক্যালোরিযুক্ত একটি সবজি। এটি খেলে পেট ভরে যায়, ক্ষুধা কমে। কিন্তু কম ক্যালারিযুক্ত বলে বাড়তি মেদ জমা হওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : ফুলকপি কার্বোহাইড্রেড বা শর্করার মাত্রা খুব কম।ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে কিডনি সুস্থ রাখতে ফুলকপি সহায়ক হয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : ফুলকপিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এটি রক্তনালীগুলোকে সুস্থ রাখে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : ফুলকপিতে সালফোরাফেন নামক একটি যৌগ রয়েছে। এটা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। ফুলকপি এটি স্তন, প্রোস্টেট এবং ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরি।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় : ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং আরও কিছ নিউট্রিয়েন্ট। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে মানসিক ও ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য ভালো : ফুলকপিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এটি ত্বকের বার্ধক্য রোধেও সহায়ক।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে : ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত এটি খেলে ঠান্ডা-কাশি বা ফ্লু সহজে হয় না।
বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় : ফুলকপিতে প্রচুর সালফার যৌগ আছে। এটা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। এটি লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপি একটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর সবজি। এটি রান্না করা, ভাজি বা স্যুপ যেভাবেই খাওয়া যায়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত ফুলকপি রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।