সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় স্থগিত
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের অনুমতি দিয়ে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং মুনতাসির আহমেদ। ১৫৪ জন রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সাবেক বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদেরকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। গতকাল রোববার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আজ নির্ধারণ করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে তাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।