সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজল

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৩ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও পরিবার ও সন্তানদের প্রতিও মনোযোগী কাজল। কয়েক দিন আগে মারাঠি ভাষার ‘উত্তর’ সিনেমার ট্রেইলার লঞ্চিং অনুষ্ঠানে মা তনুজাকে নিয়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ডিজিটাল যুগে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের গল্প এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক করা কেন জরুরি তা-ও এই অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন কাজল। সন্তানদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন, তা জানতে চাইলে কাজল বলেন, “ভাগ্য ভালো আমার মেয়ে এখানে নেই; থাকলে সে এই প্রশ্নের উত্তরেও আমার সঙ্গে তর্ক করত। এটা ষোলআনা সত্যি। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের তর্ক হওয়া দরকার। যদি আমরা ঝগড়া করি, তার মানে আমরা এমন একটি মন গড়েছি, যা আমাদের সঙ্গে তর্ক করতে পারে এবং নিজের মতামত রাখতে পারে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের নিজেদের মতো করে ভাবতে শিখিয়েছি। তারা যখন আমার সঙ্গে তর্ক করে, আমি তখন তার প্রশংসা করি। প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজাও এই আলোচনায় যোগ দেন। বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, “কাজল ছোটবেলায় আমার সঙ্গে অনেক তর্ক করত।

এ কথা শুনেই হাসতে হাসতে কাজল বলেন, “মা, আমি তো কখনো তোমার সঙ্গে তর্ক করিনি।” পাল্টা জবাবে তনুজা বলেন, “তুমি সব সময়ই তর্ক করেছ। ১৯৯২ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কাজলের। তখন তার বয়স মাত্র সতেরো। ১৯৯৯ সালে কাজল যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে, তখন অজয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজলের বিয়ের সিদ্ধান্তে অনেকে তখন অবাক হয়েছিলেন। এমনকি অজয়-কাজলের বিয়ে হোক এটিও নাকি তখন কেউ কেউ চাননি। ২০০৩ সালের ২০ এপ্রিল এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যা নিসা। ২০১০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় পুত্র যুগের। গুন্ডারাজ (১৯৯৫), ইশক (১৯৯৫), পেয়ার তো হোনা হি থা (১৯৯৮), দিল কিয়া কারে (১৯৯৯), রাজু চাচা (২০০০), ইউ মি অর হাম (২০০৮), তুনপুর কা সুপারহিরো (২০১০) ইত্যাদি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন অজয়-কাজল।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ