শিবগঞ্জে গুলি, ককটেল ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যানসহ নিহত ২
শিবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে গুলি, ককটেল ও ধারাল অস্ত্রের হামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও তার বন্ধু হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মতিন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন সালামের সহযোগি আব্দুর রহিম বাদশাহ ও নিহত মতিনের ছোটভাই আব্দুস সালাম টিটো। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহতদের স্বজন, আহত, পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটী কলেজ মোড়ে গুচ্ছগ্রামের নিকট একটি চায়ের দোকানের পেছনে মাঠে বসে নিহত সালাম ও মতিনসহ ৪/৫ গল্প করার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে সালাম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত অবস্থায় আব্দুল মতিনকে জেলা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পরপরই সোনামসজিদ মহাসড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে ব্যারিকেড দেয় জনসাধারণ। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত সালাম নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মোড়লটোলা গ্রামের মৃত এত্তাজ মন্ডলের ছেলে। নিহত মতিন ও আহত টিটো এই ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। আহত রহিম বাদশাহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ভাগ্যবানপুর গ্রামের মৃত ইস্তামের ছেলে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ রাতে জেলা শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে মহারাজপুর এলাকায় সালামের চলন্ত প্রাইভেটকারে একাধিক ককটলে নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কারটি সম্পূর্ণ বিধস্ত হলেও প্রাণে রক্ষা পান তারা।
এদিকে হামলার পর ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ছাইদুল। আজ বিকালে শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঘটনায় ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ। পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। রাতে ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা,একটি চ্ইানিজ কুড়াল ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ আলামত হিসাবে জব্দ হয়েছে। ডিবি,সিআিইডি,পিবিআই,র্যাবসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর আজ বিকালে নিহতদের জানাজার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে মোতায়েন রয়েছে।