শিক্ষকতা কোনো চাকরি নয়, মহান পেশা : মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিঞা মো. নুরুল হক বলেছেন, শিক্ষকতা কোনো চাকরি নয়, এটি একটি মহান পেশা। তাই শিক্ষকতার সময় নির্ধারণ করে দিলেই যে শিক্ষার মান বাড়বে এমনটা নয়। বরং আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকরা পাঠদান করলেই শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবেন এবং শিক্ষার মান বাড়বে। শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো একজন শিক্ষককে বুঝতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগ বাড়বে। তারা প্রতিষ্ঠানমুখী হবে। বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সত্রাজিতপুর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাদ্রাসা বোর্ড চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শিক্ষা বিভাগকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের জঙ্গি তকমা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু আজ যখন দ্বীনি শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে, তখন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদাহরণ টেনে বলেন, মানসম্মত শিক্ষায় পারে একটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ধরে রাখতে। অন্যথায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বা উপবৃত্তি দিয়েও কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী খরায় ভুগছে। বাংলাদেশের বেশকিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর অভাবে একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের কারণে কিছু নূরানী মাদ্রাসাসহ বেসরকারি বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর চাপে কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তাই আমাদের এমপিওভুক্ত এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান আরো বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি, মানসম্মত শিক্ষা প্রদানকারী কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয়ার।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন— রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা ড. মো. কেরামত আলী, শিবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জোবদুল হক, সত্রাজিতপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. এনামুল হকসহ মাদ্রাসাটির শিক্ষক-কর্মচারীগণ।
শেষে মাদ্রাসার বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষাবিষয়ক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় যোগ দেন মাদ্রাসা বোর্ড চেয়ারম্যান।
এর আগে তিনি সড়কপথে সত্রাজিতপুর ফাজিল মাদ্রাসায় পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে তাকে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে একটি আম খোদাই করা কাঁসার থালা উপহার দেয়া হয়।