রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী চারটি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালানো সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারককলিপি প্রদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘন্টারও বেশি সময়ের মানববন্ধনে আয়োজকরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ^াস না দিলে আগামী ১৪ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে ‘বনলতা’ ট্রেন অবরোধের কর্মসূচী দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা সুজন সভাপতি আসলাম কবীর, সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ ইসাহাক, জেলা চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ,শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন ও মাহফুজ রায়হান,জেলা বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলন আহব্বায়ক আব্দুর রাহিম,নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহব্বায়ক আবু হেনা বাবলু, প্রবীন হিতৈষী সংঘের আফসার আলী,মর্ডান মাকেট কমিটি সভাপতি গোলাম মোস্তফা,জেলা কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সম্পাদক বাবুল আখতার,জেলা পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ,জেলা চা দোকান মালিক সমিতি সভাপতি কামরুজ্জমান মুক্তা,সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোখলেসুর রহমান,জেলা যুবদলের সাবেক সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ অনেকে।
বক্তরা বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে ৫টি আন্ত:নগর ট্রেন চললেও শুধু ‘বনলতা’ রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলে। অথচ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন থেকে সকল ট্রেনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালাানোর দাবিতে আন্দোলন করছে। অথচ দাবিটি পূরণ না হওয়ায় ২৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার জেলাবাসীকে বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আম সহ বিভিন্ন দিকে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার জেলাবাসী নিরাপদ আধুনিক যোগাযোগ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবন্ধন শেষে জেলা প্রসাসকের মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা ও সচিব এবং সড়ক উপদেষ্টা ও সচিবকে স্¥রকলিপি দেয়া হয়।
৮দফার অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডবল লাইন নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম আধুনিকায়ন, জেলার রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক ষ্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর ঘোষণা,সকল আন্ত:নগর ট্রেনের জন্য রহনপুর পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু, সদর উপজেলার আমনুরা বাইপাস ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি রাখা, আমনুরাকে আধুনিক জংশনে রুপান্তর এবং ঢাকা থেকে নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হয়ে জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নত করা।