মোদী গুজরাট দাঙ্গার ষড়যন্ত্রে ছিলেন না: ভারতীয় হাইকোর্ট

292

ভারতের গুজরাট রাজ্যে ২০০২ সালে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনো ষড়যন্ত্র ছিলোনা বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত আরো জানায়, কোনো বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল না, গুজরাটের সাম্প্রদায়িক হিংসা ঠেকাতে সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করেছিলেন রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ বিষয়ে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টকে বহাল রেখে হাইকোর্ট বলছে, নরেন্দ্র মোদী ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো ফৌজদারি মামলা শুরু করা হবে না। এর আগে, গুজরাট দাঙ্গার বিষয়টি নিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি অভিযোগ তোলেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের হিংসায় গুজরাটের যে সব এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার মধ্যে আমেদাবাদ অন্যতম। সে শহরে সংখ্যালঘু প্রধান আবাসন গুলবর্গ সোসাইটিতে ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছিল। অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুলবর্গ সোসাইটিতে হওয়া সেই হামলাতেই মৃত্যু হয় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির। তিনি বার বার পুলিশকর্তাদের ফোন করে সাহায্য চাওয়া সত্ত্বেও কোনো সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ ওঠে।
গুজরাটের হিংসাত্মক ঘটনার তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পর, নরেন্দ্র মোদী এবং তার প্রশাসন হিংসাত্মক ঘটনা রোখার সব চেষ্টা করেছিলেন বলে বিশেষ তদন্তকারী দল রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টকে মান্যতা দেয় নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জাকিয়া জাফরি। ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক হিংসার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল এবং গুজরাতের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি নেতৃত্ব ও বেশ কয়েকজন আমলাসহ মোট ৫৯ জন সেই ষড়যন্ত্রে সামিল ছিলেন, এই অভিযোগ তোলেন তিনি। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুরু করার দাবিও জানান তিনি।