মারা গেছেন সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ মারা গেছেন। আজ সিঙ্গাপুরে স্কুবা ড্রাইভিং করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুর পুলিশ জুবিন গার্গকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হলেও, চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি। জুবিন গার্গ নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণের জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন। শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর সেখানে তার পারফর্ম করার কথা ছিল। কিন্তু তার হঠাৎ মৃত্যু ভক্ত ও সমগ্র আসামবাসীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে এবং ভারতের সংগীত জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। জুবিনের মৃত্যুতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানানো হচ্ছে। সবাই প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। প্রাক্তন রাজ্যসভা সংসদ সদস্য রিপুন বোরা মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) লেখেন, “আমাদের সাংস্কৃতিক আইকন জুবিন গার্গের অকাল প্রয়াণে অত্যন্ত শোকাহত ও মর্মাহত। তার কণ্ঠ, সংগীত এবং অদম্য মনোভাব আসাম এবং এর বাইরেও বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। তার পরিবার, ভক্ত ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। শান্তিতে ঘুমান, কিংবদন্তি। ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী।