বাল্যবিবাহ এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রভাব বিস্তারকারী স্টেক হোল্ডার ও অংশীজনদের সাথে সংলাপ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ বন্ধ, শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ মুক্তকরণে আলোচনা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও পরিকল্পনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার যুগী ডাইং এর এসডিএস ফাউন্ডেশন এর সম্মেলন কক্ষে, এসএসবিসি প্রকল্পের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্য ও সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি শিশু ও যুব সমাজের প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি মোঃ মতিউর রহমান, সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডল, রেডিও মহানন্দার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার মোঃ রেজাউল করিম, ইসপেস এর ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান আলী, মাওলানা মোঃ বেলাল উদ্দিন-শিক্ষক, গণশিক্ষা কার্যক্রম ও আবদুর রহিমসহ অন্যান্যরা। আলোচনা ও পরিকল্পনামূলক সভায় অতিথিরা বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সংহিসতা বন্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো জোরদার করার আহ্বান জানান। এই সময়ে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, কারণ ও প্রতিরোধ, বন্ধে অভিভাবক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের একসাথে করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করা হয় এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ গ্রাম ও ওয়ার্ডকে বাল্যবিবাহ মুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন ।


এছাড়াও রেডিও মহানন্দার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রেজাউল করিম বাল্য বিয়ে, শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ে রেডিও মহানন্দার কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি শিশুর নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তুলে ধরে বলেন -আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুর বিয়ে না দিয়ে তাকে লেখাপড়া করিয়ে তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন। অনুষ্ঠানে সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডল -বাল্য বিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের সাথে সাথে টিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব টিকা দান সপ্তাহ ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ শুরু হয়েছে ঠিক সময়ে শিশুর প্রতিটি টিকা নিশ্চিত করুন। টিকা শিশুর জীবন বাচাই, নির্ধারিত দিন তারিখ এর আগে টিকা না দিলে তাকে অকার্যকর ডোজ বলে। অকার্যকর ডোজে শিশুর টিকা প্রাপ্তি সম্পূর্ণ হয় না এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত হয়। যে সকল শিশুরা জন্মের পর থেকে দুই বছর বয়সের মধ্যে এখনো টিকা গ্রহণ করেনি নিকটস্থ স্বাস্থ্য টিকা দান কর্মীর সাথে যোগাযোগের আহব্বান জানান। তিনি আরও বলেন, মনে রাখবেন টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়, শিশুর সুস্থ সুন্দর আগামীর জন্য টিকা দেওয়া নিশ্চিত করি এবং কার্যকর টিকা গ্রহণে সচেতন হই।