বাংলা সিনেমার ইতিহাস লেখা হলে যেসব সিনেমার নাম সবার আগে প্রাধান্য পাবে, তারমধ্যে অন্যতম ছবি ‘ঘুড্ডি’। উত্তরাধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। কালজয়ী এই সিনেমার নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী আর নেই। সোমবার রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে রাজধানীর গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর।
নির্মাতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায়ও ধানমন্ডির বাসায় ছিলেন জাকী। সব ঠিকঠাকভাবে চলছিল। রাত দশটার পর হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর দ্রুত রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এই পরিচালককে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান তিনি মারা গেছেন। সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী চলচ্চিত্র নির্মাতা, কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও লেখক। ১৯৮০ সালে তিনি তৈরি করেন প্রথম ছবি ‘ঘুড্ডি’।
বাংলা সিনেমার ইতিহাস লেখা হলে যেসব সিনেমার নাম সবার আগে প্রাধান্য পাবে, তারমধ্যে অন্যতম ছবি ‘ঘুড্ডি’। উত্তরাধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে যে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। নির্মাতা পরিচয়ের বাইরেও সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও লেখক হিসেবে পরিচিত। ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’ দিয়ে দর্শকদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমালোচকদেরও মন জয় করেন তিনি। এই সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। গত শতকের নব্বই দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় দুটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেন। একটি ‘অপরাজেয় একা’ অন্যটি ‘ক্রান্তিকাল’। তবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারনে ইচ্ছেমতো ছোটাছুটি করতে পারতেন না সৈয়দ সালাউদ্দীন জাকী। তারপরও তাঁকে দমানো যায়নি। হুইলচেয়ারে বসেই ক্যারিয়ারের ৭ নম্বর চলচ্চিত্রটি বানান ।‘অপরাজেয় একা’ সেই নামের ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।