চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক আদালতে দুজনের কারাদন্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক দুটি আদালতে দুজনকে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে অস্ত্র মামলায় মহসেন আলী নামে একজনকে ১০ বছরের এবং পৃথক আরেকটি আদালতে হত্যা মামলায় দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে ১০ বছর কারাদন্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দেলোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন।
আজ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মিজানুর রহমান আসামি মহসেনের উপস্থিতিতে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। অন্যদিকে হত্যা মামলায় অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ এর বিচারক রবিউল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। দন্ড প্রাপ্ত মহসেন গোমস্তাপুর উপজেলার ভাগলপুর কইমারী গ্রামের মৃত কুড়ান বিশ্বাসের ছেলে। আর দন্ড প্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসেন শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি দুবলিভান্ডার গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাজমুল আজম জানান, ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাচোল-রহনপুরগামী সড়কের আঝইর নামোপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানকালে র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে পালানোর সময় ৩টি ওয়ানশুটার গানসহ মহসেনকে আটক করা হয়। ঘটনার পরদিন র্যাবের এসআই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে নাচোল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শ্রী লালন কুমার দাস ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাসিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এই দ-াদেশ প্রদান করেন। অন্যদিকে মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল শিবগঞ্জের কানসাটে মেয়ে-জামাইয়ের কথাকাটির একপর্যায়ে মেয়েকে লাথি ও কিলঘুসি মারে জামাই দেলোয়ার। এসময় মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে দেলোয়ারের লাথিতে পিয়ারা বেগম আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে এবং পরে কানসাটের একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে পিয়ারা বেগম মারা যান। এ ব্যাপারে ওই দিন নিহতের স্বামী হাসেন আলী বাদী হয়ে দেলোয়ারের নামে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমান সরদার ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেলোয়ারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আইনজীবী রবিউল ইসলাম আরো জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক দন্ড বিধির ৩০৪ ধারায় দেলোয়ারকে ১০ বছর কারাদন্ড প্রদান করেন।