ঘরের ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি সতর্ক থাকবেন যেভাবে

 

অনেকেরই ডাস্ট অ্রালার্জি বা ধূলিকণা থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জির সমস্যা আছে। এর ফলে একটানা হাঁচি, সর্দি, চোখ চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সঠিক লাইফস্টাইল এবং কিছু স্মার্ট অভ্যাস আপনার অ্যালার্জিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। যেমন-ডাস্ট অ্যালার্জির মূল কারণ হল ধুলোর মাইট । এই ক্ষুদ্র জীবগুলি গরম ও আর্দ্র পরিবেশে, বিশেষ করে বিছানাপত্রে জন্মায়। এদের নিয়ন্ত্রণ করাই হলো প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।
কী করবেন-
বিছানাপত্রের বিশেষ যত্ন
বিছানার কভার ব্যবহার করতে হবে। বালিশ, তোষক এবং লেপের উপর অ্যালার্জি-প্রুফ কভার ব্যবহার করুন। এই কভারগুলি মাইট এবং এগুলোর বর্জ্য পদার্থকে আটকে রাখে। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার এবং কম্বল গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ:ধুলোর মাইট আর্দ্রতা ভালবাসে। আপনার ঘরের আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের নিচে রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে একটি ডিহিউমিডিফায়ার (আর্দ্রতা শোষণকারী যন্ত্র) ব্যবহার করতে পারেন।
কার্পেট এবং ভারী পর্দা এড়িয়ে চলুন
কার্পেট, ভারী কম্বল বা ঘন পর্দা ধুলোর মাইট এবং অন্যান্য অ্যালার্জেনদের জন্য আদর্শ আবাস। সম্ভব হলে কার্পেট সরিয়ে শক্ত কাঠ, টাইলস বা লিনোলিয়ামের মেঝে ব্যবহার করুন। জানলায় সহজে ধোওয়া যায় এমন হালকা পর্দা ব্যবহার করুন।
পরিচ্ছন্নতার স্মার্ট রুটিন
নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা জরুরি। তবে সেই পরিচ্ছন্নতা যেন সঠিক উপায়ে হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
সঠিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার: সাধারণ ঝাড়ু ব্যবহার করলে ধুলো আরও বেশি বাতাসে ছড়ায়। এর পরিবর্তে এইচইপিএস ফিল্টার যুক্ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি সূক্ষ্ম ধূলিকণাকে শোষণ করে, যা অ্যালার্জির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ভেজা কাপড় ব্যবহার: আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিস মোছার জন্য শুকনো কাপড়ের পরিবর্তে ভেজা কাপড় বা মপ ব্যবহার করুন। এতে ধুলো বাতাসে ওড়ার সুযোগ পায় না।
মাস্ক পরুন: যখন ঘর পরিষ্কার করবেন বা ভ্যাকুয়াম করবেন, তখন নাকে এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। তাহলে অ্যালার্জেন সরাসরি আপনার শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারবে না। পরিষ্কারের পর কমপক্ষে ২০ মিনিট ঘর থেকে দূরে থাকুন। বিশুদ্ধ বাতাসের দিকে নজর: বাড়ির ইনডোর বাতাসের গুণমান উন্নত করা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘরে এইচইপিএস যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। যা বাতাস থেকে পরাগ, ধুলোর মাইটের বর্জ্য এবং অন্যান্য অ্যালার্জেন ফিল্টার করে দেবে। এ ছাড়া ঘরের ভেতরের ডাস্টবিন নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং বাইরে রাখুন। লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার পরেও যদি অ্যালার্জির উপসর্গগুলি না কমে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।