গোমস্তাপুরে দেবর হত্যার দায় স্বীকার করে ভাবীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গোমস্তাপুর উপজেলায় দেবর পাঁচ বছরের নেপাল টপ্পোকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ওই শিশুর আপন ভাবী সৌরভী টকির্ (১৯)। সে নেপালের ভাই গোপাল টপ্পো’র স্ত্রী। পুলিশ জানায়, শুক্রবার(২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট্রের আদালতে, সৌরভী পারিবারিক কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটান বলে জবানবন্দি প্রদান করেন।
পুলিশ আরও জানায়, গত ২০ নভেম্বর সকালে গোমস্তাপুরের পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে নিখোঁজের চারদিন পর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ওই শিশুর অর্ধগলিত ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা করে তার বাবা দুলাল টপ্পো। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে নেপাল গত ১৬ নভেম্বর বাড়ির পাশে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে পরদিন ১৭ নভেম্বর থানায় জিডি করে তার বাবা। এদিকে, গত ২৮ নভেম্বর অপমৃত্যু মামলা নিষ্পত্তির পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৌরভীকে থানায় সোপর্দ করে তাকে ও অজ্ঞাতসংখ্যক অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে হত্যা ও গুমের মামলা করে নেপালের বাবা। পুলিশ পরদিন সৌরভীকে আদালতে পাঠানে সে হত্যার দায় স্বীকার করে।
আজ (৩০ নভেম্বর) বিকেলে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খাইরুল বাশার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(আইও) এবং গোমস্তাপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আতিকুজ্জামান জানান, আদালতে সৌরভী জানিয়েছেন, গত ১৬ তারিখ সে নেপালকে চড় দিলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন মৃত ভেবে তাকে পুকুরে ফেলে দেয় সৌরভী। সৌরভীর প্রেমের বিয়ে। কিন্তু সে শ্মশুর বাড়িতে মানিয়ে নিতে পারে নি। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, নেপাল নিখোঁজ ও মরদেহ পাবার পর থেকেই তাদের সন্দেহ ছিল। পরে তারা নিশ্চিত হয় সৌরভী এ ঘটনায় জড়িত। তখন তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।