কমছে পানি, ভাঙছে নদী ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার কৃষক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারের বন্যায় ১০ হাজার ২১১ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতি হয়েছে রোপা আউশসহ ২ হাজার ২৫২ হেক্টর জমির ফসল। অন্যদিকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের বন্যায় সদর, শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলসহ জেলায় ২ হাজার ১৯ হেক্টর রোপা আউশ, ২০ হেক্টর ভুট্টা, ৮৭ হেক্টর রোপা আমন, ১০৮ হেক্টর শাকসবজি, কলাবাগান ৫ হেক্টর, ১৩ হেক্টর হলুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শূন্য দশমিক ৩৫ হেক্টর পেঁয়াজ বীজ নষ্ট হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী এইসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন— পানি তো নেমে গেছে। আমরা আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করব। আশা করা হচ্ছে কিছু ধান হয়ত পাওয়া যাবে। পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, তিন ফুট মতো পানি নদীর পাড়ের নিচে নেমেছে। এর ফলে চরপাঁকা, কদমতলা, লক্ষ্মীপুর, শেয়ালপাড়া এলাকায় পদ্মার ভাঙনে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বন্যার পর স্বাস্থ্যঝুঁকিও দেখা দিয়েছে। পাঁকাবাসী কষ্টে আছে বলে জানান তিনি।

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এবারের বন্যায় পাঁকা, উজিরপুর সম্পূর্ণ এবং দুর্লভপুর ও মনাকষার আংশিক মিলিয়ে পানিবন্দি হয় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার। তাদের মধ্যে ২০ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৩০ পরিবারে ১০ কেজি করে চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন, নগদ ৬ হাজার করে টাকা ও চালসহ শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী রবিবার পাঁকা ইউনিয়নে ৬০০ পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনূর আলম জানান, এবার বন্যায় নারায়ণপুর ও আলাতুলি ইউনিয়নে ১ হাজার ২০০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ১৫ কেজি করে চাল, শুক্রনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।