দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর কারান-ভিন্স প্রতিরোধ গড়ে দিয়েছিলেন। মিরাজ সেই জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দিলেন। অফ স্ট্যাম্পে টার্ন করা বল উড়িয়ে মেরেছিলেন কারান, কিন্তু শটে জোর ছিল না। লং অফে বাউন্ডারি লাইন পার হওয়ার আগেই ক্যাচ ধরেন লিটন। ৪৯ বলে ২৩ রান করে ফেরেন কারান। ক্রিজে ভিন্সের সঙ্গী বাটলার।
এবার ইংলিশদের প্রতিরোধ
দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের চাপে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছে সফরকারীরা। জেমস ভিন্স-স্যাম কারান জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে ৪৭ রান আসে। দলীয় রান ১০০ পার করেছে।
এবার সাকিবের শিকার রয়। টানা ৩ ওভারে বলে ব্যবধানে ৩ উইকেট নিলো বাংলাদেশ। সাকিবের কুইকার ডিফেন্স করতে গিয়েও পারেননি দ্বিতীয় মে্যাচে সেঞ্চুরি করা রয়। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। ৩৩ বলে ১৯ রান করেন এই ডানহাতি ওপেনার। উড়ন্ত সূচনা করা ইংল্যান্ড চাপে সাকিবের ঘূর্ণিতে। টানা তিন উইকেট হারানোর পর কারান-ভিন্সের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ইংলিশরা।
মালানকে শূন্য রানে ফেরালেন ইবাদত
সাকিবের পরের ওভারে ইবাদতের আঘাত। বেরিয়ে যাওয়া বল ক্রস ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন মালান। কিন্তু ব্যাটে-বলে এক হলো না। বল সোজাসুজি চলে যায় মিডঅনে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহর হাতে। শূন্য রানে ফিরলেন প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মালান।
সল্টকে ফেরালেন সাকিব
ইনিংসের প্রথম বল পায়ে লেগেছিল সল্টের। কিন্তু মোস্তাফিজের বলটি আউট সাইড লেগে হওয়ার বেঁচে যান। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আভাস দেন। নবম ওভারের পঞ্চম বলে মিসটাইমিংয়ে লেগ সাইডে চার মারেন। পরের বলে ধরা পড়েন কাভারে মাহমুদউল্লার হাতে। মাত্র ২৫ বলে করেন ৩৫ রান।
প্রথম বলেই রিভিউ হারালো বাংলাদেশ
মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের প্রথম বল লাগে জেসন রয়ের পায়ে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন তামিম ইকবাল। কিন্তু বল আউটসাইড লেগে পিচ করায় বাংলাদেশ শুরুতেই রিভিউ হারায়।
তিন ফিফটিতে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ইংল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন সাকিব। ৭১ বলে এই রান করেন তিনি। এ ছাড়া মুশফিক ৯৩ বলে ৭০ ও শান্ত ৭১ বলে ৫৩ রান।
১৭ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর মুশফিক-শান্তর ৯৮ রানের জুটিতে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। মুশফিকের বিদায়ের পর বিদায়ের পর বলতে গেলে সাকিব একাই টেনে নিয়েছেন ৪৯ ওভার পর্যন্ত। আর্চারের বলে লং অফে ক্যাচ আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ মাত্র ১টি বল খেলতে পারে। মোস্তাফিজ এসেই গোল্ডেন ডাক। আর্চারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। মাঝে আফিফের সঙ্গে সাকিবের জুটি থেকে আসে ৪৯। যেখানে আফিফের অবদান মাত্র ১৫। এ ছাড়া সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিং করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ (৮) মিরাজ (৫) তাইজুল (২) রানে ফেরেন। ইবাদত ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আর্চার। ২ উইকেট করে নেন কারান-রশিদ।